১২ মার্চ কাঠমান্ডুতে প্লেন দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় এনে অন্যদের পাশাপাশি অ্যানিকেও ঢামেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত স্বামী ও কন্যার মরদেহ দেখতে মাঝে একবার গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্বশুর বাড়ি যেতে দেওয়া হলেও পরে আবারও তাকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়।
বুধবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢামেকের বার্ন ইউনিটের ভিআইপি কেবিনে বাংলানিউজকে অ্যানি বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি। চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন, আর ৩-৪ দিন হাসপাতালে থাকা লাগতে পারে আমাকে। এরপর ছাড়পত্র দিতে পারেন। বাড়িতে গেলে অনেক ভালো লাগবে আমার। ’
অ্যানি শ্বশুরবাড়িতে থেকে নিকটস্থ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করছেন। কিছুদিনের মধ্যেই তার দ্বিতীয় বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল দেবে।
অ্যানি জানান, ফলাফল পেলে তিনি বাবার বাড়ি ময়মনসিংহের একটি প্রতিষ্ঠানে ট্রান্সফার হয়ে যাবেন। বাবার বাড়িতে থেকেই লেখাপড়া করবেন।
দুপুরে অ্যানি ও চিকিৎসাধীন আরেক যাত্রী শেহরিন আহমেদের খোঁজখবর নেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন, বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস২১১। এতে নিহত হন ৪৯ জন। যাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। আহত হন আরও ১০ বাংলাদেশি। এদের তিনজনকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হলেও দেশে আনা হয় সাতজনকে। তাদের মধ্যে শাহীন ব্যাপারী নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কবির হোসেন নামে আরেকজনকে। ছাড়পত্র পেয়েছেন মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও শেখ রাশেদ রুবায়েত।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় স্বামী এফএইচ প্রিয়ক ও শিশু কন্যা তামাররা প্রিয়ন্ময়ীকে হারিয়েছেন অ্যানি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/