এদের মধ্যে থেকে তিন আসামির বিমানের যন্ত্রপাতি নিরীক্ষায় তাচ্ছিল্য করায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮৭ ধারায় প্রসিকিউশন মামলা দাখিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এসএম রোকনুজ্জামান, সামীউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এসএম সিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন।
যে তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, বিমানের ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হক, টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান ও মেকানিক শাহ আলম। তবে তারাও রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
বুধবার (০৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন। গত ৬ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুব আলমের দাখিল করা প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারক এ আদেশ দেন।
২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তা তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। সেখানে ত্রুটি সারিয়ে চার ঘণ্টা পর বুদাপেস্টের উদ্দেশে রওনা হয় বিমান।
ওই বিমানের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলা হওয়ার পেছনে নাশকতা ছিল কি-না, তা তদন্তে গত ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আরও দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত ২১ ডিসেম্বর ১১ জনকে আসামি করে মামলা ও আসামিদের বরখাস্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
এমআই/এমজেএফ
