মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে মশাল জ্বেলে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকা গণপূর্ত বিভাগের সামনের সড়কে এক ছাত্রী হোস্টেলের দিকে যাচ্ছিলেন।
এক পর্যায়ে ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি করে তারা। পরে ছাত্রীর চিৎকারে মাহিন্দ্র ও মাহিন্দ্রের সঙ্গে আরও দু’টি মোটরসাইকেলে থাকা বখাটেরা দ্রুত সটকে পড়ে।
বিষয়টি জানাজানি হলে পুরো ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে রাত ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে মশাল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাসপাতালের মর্গ সংলগ্ন ব্যায়ামাগার (বর্তমানে পুলিশের নিবাসস্থল) ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অবস্থান নিয়ে পুলিশ সদস্যদের ব্যবহৃত আসবাবপত্র ভাঙচুরের চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। কোতোয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সত্যরঞ্জন খাসকেল জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে, ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে, ক্যাম্পাসে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে পকেট গেট স্থাপন করতে হবে, মেয়েদের হোস্টেলের সামনে লোহার গেট স্থাপন ও সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে।
এসব দাবিতে বুধবার (০৪ এপ্রিল) সকালে কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
এমএস/এমএ