মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ‘আমি ক্ষুব্ধ’ শিরোনামে এক পোস্টে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিজের বক্তব্য দিয়েছেন তারানা।
তিনি লিখেছেন, ‘‘একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে মিশা সওদাগর আর চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার ‘ধর্ষণ’ সম্পর্কিত কথোপকথন আমাকে বিস্মিত, হতবাক, ক্ষুব্ধ করেছে! যখন বাংলাদেশে নারী-পুরুষ সকলে দল-মত নির্বিশেষে নারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তখন ধর্ষণ নিয়ে তাদের হাসাহাসি দেখে মনে হলো; আমরা কি অমানুষের পর্যায়ে চলে যাচ্ছি?’’
‘ধর্ষণের শিকার মানুষটির জায়গায় দাঁড়িয়ে দেখুন- তাঁর স্বপ্ন ভেঙেছে! সমাজ তাঁর দিকে তীর্যক দৃষ্টিতে তাকায়।
তারানা হালিম আরও লিখেছেন, ‘‘ধর্ষণ নিয়ে একজন নারী হয়ে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার এহেন প্রশ্নে সকল নারী সমাজ লজ্জিত। পুরুষও লজ্জিত। সস্তা কথায় অনুষ্ঠানের দর্শক বাড়ানো যায়, কিন্তু সেটি করতে গিয়ে যে পর্যায়ে নেমে গেলেন, তা কিন্তু উঠানো যাবে না। ধর্ষণ কোন হাসির বিষয় নয়; ধর্ষণ একজন নারীর হৃদয়-ছেড়া আর্তনাদের নাম। যে নারী কারো কন্যা, মা বা বোন বা স্ত্রী। ধর্ষণ নিয়ে হাসি-তামাশা ‘একটি মানবিক সমস্যা’। ’’
এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারানা লিখেছেন, ‘লেখাটি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে লিখলাম। ’
‘এই ধরনের যে কোনো প্রোগ্রাম যে কোনো চ্যানেলের প্রিভিউ করে প্রচার করা থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ মানবিক না হলে মানুষ নিয়ে কথা বলবেন কিভাবে?’
ভিডিও ক্লিপিংস দেখে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মন্তব্য উল্লেখ করে তারানা হালিম লিখেছেন, ‘কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা প্রয়োজন। ’
‘‘পৃথিবীতে কারো ‘কষ্ট’ নিয়ে ‘fun’ করা যায় না, কারো ‘মৃত্যু’ নিয়ে ‘fun’ করা যায় না, 'খুন' নিয়ে ‘fun’ করা যায় না, 'ধর্ষণ' নিয়ে ‘fun’ করা যায় না। সব কিছুকে ‘fun’ এর বিষয় করা যায় না... যায় কি?’’ প্রশ্ন করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
এমআইএইচ/এমএ