ঢাকা, বুধবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

এমএম কলেজে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ না হলে কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১০, এপ্রিল ৩, ২০১৮
এমএম কলেজে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ না হলে কর্মসূচি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী যশোর সরকারি এমএম কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক জয় রায়/ ছবি: বাংলানিউজ

যশোর: যশোর সরকারি এমএম কলেজে মাস্টার্সের ভর্তিতে ‘বায়োবীয় খাত’ দেখিয়ে ইচ্ছা মাফিক অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দুইটি ছাত্র সংগঠন।

কলেজটির শিক্ষার্থীদের যাতাযাতের জন্য কোনো বাস নেই। বের হয় না ম্যাগাজিন।

নেই প্রাথমিক চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা। তারপর এসব খাত দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থী প্রতি নিরাপত্তা জন্য নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা। এভাবে চলতি মাস্টার্সের ভর্তির নামে অতিরিক্ত ৮৭ লাখ টাকা অবৈধভাবে আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।  

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট যশোর সরকারি এমএম কলেজ শাখা নেতাকর্মীরা এসব অভিযোগ করেন।  

সংবাদ সম্মেলন থেকে ভর্তির নামে এ অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ইতোমধ্যে যাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে তা দ্রুত ফেরত দেওয়ার দাবি করা হয়। না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী যশোর সরকারি এমএম কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক জয় রায় বলেন, গত ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজ্ঞাপনকে উপেক্ষা করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মঙ্গলবার অধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু তিনি আমাদের গরমিল সম্বলিত একটি হিসাব দিয়েছেন। তাতে আমরা দেখছি ভর্তি হওয়ার আগেই বিভাগ পরিবর্তনের জন্য ৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। যাতাযাতের জন্য কলেজে কোনো ব্যবস্থা না থাকার শর্তেও এ খাতে শিক্ষার্থী প্রতি আদায় করা হচ্ছে ২০০ টাকা। এছাড়া শিক্ষার্থী প্রতি নিরাপত্তা বা নৈশ প্রহরী খাতে ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কলেজে সাহিত্য ও সংস্কৃতি, ম্যাগাজিন, চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু এসব খাত দেখিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। আমরা হিসাব করে দেখেছি সবমিলে অন্তত এক হাজার ৬২০ টাকা অবৈধভাবে আদায় করা হচ্ছে। সেই হিসাবে কলেজের ১৭টি বিষয়ে পাঁচ হাজার ৩৭০টি মাস্টার্সের আসনে ভর্তির নামে অতিরিক্ত ৮৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০০ টাকা শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে অবৈধভাবে আদায় করা হয়েছে।
 
সংবাদ সম্মেলন থেকে ভর্তির সময় এ অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ ইতোমধ্যে আদায় করা অতিরিক্ত অর্থ দ্রুত ফেরত দেওয়া দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি পলাশ বিশ্বাস, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সহ-সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ ভঞ্জন, পলাশ পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মনীষা আক্তার, অর্থ সম্পাদক তামান্না  বিশ্বাস, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক অনুপ কুমার, এমএম কলেজ শাখার দফতর সম্পাদক সঞ্জয় পালসহ বেশ কয়েকজন মাস্টার্স ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থী।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
ইউজি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।