ঢাকা, বুধবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘ঢাকা ঘোষণা’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫৮, এপ্রিল ৩, ২০১৮
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘ঢাকা ঘোষণা’ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ১৬টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে ‘ঢাকা ঘোষণা’ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট: টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা তুলে ধরা হয়।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ‘ঢাকা ঘোষণা’ উপস্থাপন করেন।

এই ঘোষণা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন এবং সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞরা সংহতি জানিয়েছেন। দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে ঢাকা ঘোষণাপত্রটি বাংলাদেশ, মিয়ানমার সরকারসহ বিভিন্ন দেশের সরকার, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে পাঠানো হবে।  

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। সমাপনী বক্তব্য রাখেন অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির।

ঢাকা ঘোষণায় রোহিঙ্গাদের উপর চালানো নিপীড়নকে গণহত্যা, গণসহিংসতা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এতে বলা হয়, খুব দ্রুত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক, সর্বজনস্বীকৃত এবং নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাদের বিচারের আওতায় এনে রোহিঙ্গাদের পর্যাপ্ত মানবিক এবং অন্য সহায়তা দিতে হবে। মিয়ানমারে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধে গভীরভাবে তদন্ত এবং দায়ী অপরাধীদের বিচার করতে হবে। আরও ক্ষতি থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে ঢাকা ঘোষণায়।  

একইসঙ্গে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অধিকার সমুন্নত রাখতে আইন প্রণয়নসহ সবার জন্য নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার ও রক্ষায় মিয়ানমারের দায়িত্বের উপর জোর দেওয়া হয়।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গওহর রিজভী বলেন, মিয়ানমার আন্তর্জাতিক নীতি অনুসারে কাজ করছে না বলেই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে এই সমস্যা আমাদের কারণে তৈরি হয়নি। তাই সমাধানও শুধু আমরা করতে পারবো না। যেখান থেকে সমস্যার উৎপত্তি হয়েছে সেখান থেকেই সমাধান সম্ভব হবে। আন্তর্জাতিক চাপ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া কোনভাবেই মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
এসকেবি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।