ঢাকা, বুধবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ওপিসিডব্লিউ-তে নিরপেক্ষ থাকবে বাংলাদেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৯, এপ্রিল ৩, ২০১৮
ওপিসিডব্লিউ-তে নিরপেক্ষ থাকবে বাংলাদেশ ওপিসিডব্লিউ

ঢাকা: গুপ্তচর হত্যার জেরে মস্কো-লন্ডন দ্বন্দ্ব যখন চরমে তখন ‘অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিকেল উইপন্সের (ওপিসিডব্লিউ)’ সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

রাশিয়ার পক্ষ ত্যাগী এক গুপ্তচরকে গত ৪ মার্চ হত্যার পর মস্কোর সঙ্গে লন্ডনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে ওপিসিডব্লিউ।

আন্তর্জাতিক এ সংস্থার  নির্বাহী কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব বর্তমানে বাংলাদেশের। চলতি বছর ওপিসিডব্লিউ’র নির্বাহী কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মাদ বেলাল।

ওপিসিডব্লিউ’র সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের নিরপেক্ষ থাকার তথ্য জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) বাংলানিউজকে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সোমবার মস্কোয় এক বৈঠক শেষে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ওপিসিডব্লিউ’র তদন্ত নিয়ে পক্ষপাতিত্ব না করতে সাবধান বাণী উচ্চারণ করেছেন।

ওপিসিডব্লিউর তদন্ত নিয়ে কোনো ধরনের রাজনীতি হলে তার পরিণাম ভালো হবে না বলে সতর্ক বর্তা দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিরপেক্ষ অবস্থান না থাকার কোনো কারণ নেই। নিরপেক্ষ অবস্থানই হবে সবচেয়ে বড় কূটনীতি।

এ প্রসঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি জানি। এ সংস্থার কার্যক্রম জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্য- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়াই নির্ধারণ করে। সভাপতি যেই থাকুক নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখা ছাড়া তার কোনো গত্যন্তর থাকে না। একজন স্থায়ী সদস্য সংস্থার কার্যক্রম থেকে বেরিয়ে গেলে পুরো বিষয়টি ভেস্তে যায়।

সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে সভাপতি আছে, এটা ঠিক। কিন্তু এ ধরনের তদন্তের বিষয়টি সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল বিষয়। টেকনিক্যাল এবং গবেষণার ফলে যা ফলাফল হবে তাই ধারণা দেবে। এখানে বাংলাদেশের খুব একটা বেশি কিছু করার আছে বলে আমি মনে করি না।

তবে সত্যিই যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হয়ে থাকে বলে প্রামণিত হয় তাহলে তাত্ত্বিকভাবে হলেও আমরা এটার বিরুদ্ধে। কারণ, আমরা রাসায়নিক অস্ত্রবিরোধী সংস্থার সদস্য হয়েছি এ ধরনের অপকর্ম রোধ করার জন্যই, বলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
কেজেড/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।