মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) পুলিশ সদর দফতরে বর্ষবরণ উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভায় তিনি এ কথা জানান।
সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, নববর্ষ উপলক্ষে আবহমান কাল ধরে শহরে, গ্রামে-গঞ্জে বিভিন্ন ধরনের মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
এ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে আয়োজিত বৈশাখী মেলা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সব সিনেমা হল এবং জনসমাগমস্থলে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন তিনি।
সভায় রাজধানীর রমনা বটমূল, রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিলসহ বৃহৎ জনসমাগমস্থল এবং মঙ্গল শোভাযাত্রায় পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। জরুরি উদ্ধার অভিযানের জন্য র্যাবের হেলিকপ্টার নিয়োজিত থাকবে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় শপিং সেন্টার, মার্কেট, বাজার, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহে নববর্ষের হালখাতা অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রেল স্টেশন, লঞ্চ ও বাস টার্মিনালসহ জনসাধারণের চলাচলের স্থানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
এছাড়া, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে অপপ্রচার চালিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এবং নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।
বর্ষবরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বিক সমন্বয়ের জন্য পুলিশ সদর দফতর, সব মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। রমনা পার্কে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাব কন্ট্রোলরুম স্থাপন করার কথা জানানো হয়।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজিপি সিদ্দিকুর রহমান, এসবির অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলামমহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
পিএম/এসএইচ