মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আল আমিন। আল আমিন ফতুল্লার কোতালেরবাগ এলাকার মৃত আছিল্লা সর্দারের ছেলে।
আল আমিন আদালতকে জানান, তার স্ত্রী রীমা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। এরই জেরে ঘটনার দিন রাতে স্ত্রীকে কিলঘুষি দেওয়ার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি।
গত ২৯ মার্চ বিকেলে কোতালেরবাগের বাড়িতে স্ত্রী রীমাকে হত্যা করে মরদেহের পাশে দেড় বছরের শিশু সন্তান নাহিদকে রেখে পালিয়ে যান আল আমিন। তিনদিন পর দুর্গন্ধ ও শিশুর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে দেখেন শিশুটি তার মায়ের মরদেহের পাশে বসা। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে শিশুটিকে তার চাচী মাহিনুরের কাছে দেয়।
কোর্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন জানান, আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রীমা (২২) পাবনা জেলা সদরের পশ্চিম সাধুপাড়া গ্রামের রুতাব শেখের মেয়ে। গত শুক্রবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ আল আমিনের বিরুদ্ধে রীমার মা জোসনা বেগমের মামলা গ্রহণ করে।
রীমার মা জোসনা বেগমের অভিযোগ, স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ মিলে রীমাকে হত্যা করেছে। গত কয়েক মাস ধরেই রীমার উপর অত্যাচার করছিলো সবাই। এরই ধারাবাহিকতায় রীমাকে হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
আরআর