বান্দরবান জেলা বৈসাবি উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কো কো চিং মার্মা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ উপলক্ষে সম্প্রতি জেলা বৈসাবি উদযাপন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কো কো চিং মার্মা জানান, সভায় মার্মা বর্ষপঞ্জি দেখা হয়েছে। পঞ্জিকা অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল সাংগ্রাইং আবাহন বা মূল উৎসব উদযাপন করা হবে। এর আগে ১৩ এপ্রিল মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে এ উৎসবের সূচনা হবে। এতে জেলায় বসবাসরত ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা নিজস্ব ঐতিহ্যের পোশাকে নেচে-গেয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
সাংগ্রাইং উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা যায়, শহরের রাজার মাঠে মূল উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ১৪ এপ্রিল বুদ্ধ মূর্তি স্নান, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরাদের ১২ এপ্রিল ফুলবিঝু, ১৩ এপ্রিল মূলবিঝু ও ১৪ এপ্রিল নতুন বছরের আয়োজন করা হবে। তঞ্চঙ্গ্যারা ১২ এপ্রিল জেলার রেইছা এলাকায় ঐতিহ্যবাহী ঘিলাখেলায় মেতে উঠবে।
এদিকে, সাংগ্রাইমা, ঞি ঞি ঞা ঞা, রিকেজ গে পা মে, এসো মিলি সাংগ্রাই এর মৈত্রী পানিবর্ষণের উৎসবে ঐতিহ্যবাহী এ মার্মা গানের সুর মূর্ছনায় এখন উদ্বেলিত পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান।
এছাড়াও জেলা সদরের রেইছা, সুয়ালক, রাজবিলা, কুহালং এবং রোয়াংছড়ি, থানচি ও রুমা উপজেলায় আদিবাসী মার্মা, চাকমা, ত্রিপুরা ও তঞ্চঙ্গ্যারা বৈসাবি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
টিএ