শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলামের উদ্যোগে মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মুসলিমপুরে পালিত মা নাসিমা বেবীর বাড়িতে জাকযমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আকিকা করা হলো শিশুটির। এসময় তার নাম রাখা হয় মমতাজ মহল মুক্তি।
গত ১২ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী মুসলিমপুর এলাকায় নাসিমা বেবীর বাড়ির সামনে প্রসব বেদনায় ছটফট করছিলেন। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ইউএনও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে শিশুটির সব দায়িত্ব নেন। প্রসূতি মা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় সন্তান জন্মের কয়েকদিন পরেই শিশুটিকে ফেলে এলাকা ছেড়ে চলে যান।
বর্তমানে তার খবর কারো জানা নেই। এ অবস্থায় ইউএনও শফিকুল ইসলাম শিশুটির দেখাশোনার জন্য মুসলিমপুর এলাকার দুরুল হোদার স্ত্রী নাসিমা বেবীকে দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব দেওয়ার ২৭ দিনের মাথায় মঙ্গলবার দুপুরে মুসলিমপুর গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় দু’টি ছাগল জবাই করে শিশুটির আকিকার ব্যবস্থা করেন ইউএনও।
আকিকার পর খাসীর মাংস স্থানীয় দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ইউএনও ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থানীয়দের উৎসাহিত করতে আয়োজন করেন একটি দাওয়াত অনুষ্ঠানের। সেখানে দাওয়াত করে খাওয়ানো হয় স্থানীয়দের। সেইসঙ্গে মুক্তির জন্য উপহার হিসেবে তিনি একটি স্বর্ণের চেইন, পাঁচ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু পোষাক দেন।
এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম জানান, ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখেই আইন মোতাবেক একজন যোগ্য দম্পতির হাতে দত্তক হিসেবে তুলো দেওয়া হবে শিশুটিকে। তবে দত্তক দেওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুটির যাবতীয় ব্যয় ভার তিনিই বহন করবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ (সোমবার) মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
আরএ