ঢাকা, বুধবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

সেনানিবাস না ‘ক্যান্টমেন্ট বিল’ নির্ধারণের সুপারিশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:০১, এপ্রিল ৩, ২০১৮
সেনানিবাস না ‘ক্যান্টমেন্ট বিল’ নির্ধারণের সুপারিশ

ঢাকা: জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘সেনানিবাস বিল’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘ক্যান্টমেন্ট বিল’ নাম নির্ধারণের সুপারিশ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

এ বিষয়ে কমিটি বলছে, ‘ক্যান্টনমেন্ট’ শব্দটি থাকলে তিন বাহিনীকেই বোঝাবে। আর ‘সেনানিবাস’ নামটি দিয়ে শুধু সেনাবাহিনীকে বোঝায়।

যে কারণে একশো বছরের পুরানো নাম নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (০৩ এ‌প্রিল) সংসদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মুহাম্মদ ফারুক খান, মো. মাহবুবুর রহমান, ডা. দীপু মনি, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ও বেগম হোসনে আরা বেগম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, ১৯২৪ সালের ‘ক্যান্টনমেন্টস অ্যাক্ট’ নতুন করে প্রণয়ন করতে সংসদে উত্থাপিত ‘সেনানিবাস বিল’ নামে একটি বিল গত বছরের নভেম্বর মাসে সংসদে উত্থাপন করেন সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

পরে তা পরীক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। পরে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিলটি পরীক্ষার জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। উপ-কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা শেষে সংসদীয় কমিটি বিলের নাম পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী সাংবা‌দিক‌দের বলেন, আগের যে নাম আছে আমরা সেটাই রাখছি। কারণ ক্যান্টনমেন্ট বললে, তিন বাহিনীকেই বোঝায়। আর সেনানিবাস বললে শুধু সেনাবাহিনীকে বোঝানো হচ্ছে। তখন আলাদা করে নেভি বিল, বিমান বাহিনী বিল করতে হবে।

তিনি বলেন, ব্রিটিশরা অনেক চালাক ছিলেন। তারা বিলটির নাম ক্যান্টনমেন্ট এ্যাক্ট রেখেছিলো। ওই নামের মধ্যেই আসলে সব বাহিনীকে বোঝায়। তাই বিলের নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি বিলের বেশ কয়েকটি ধারায় সংশোধনীর সুপারিশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বৈঠকে বিলের বেশ কিছু জায়গা পরিবর্তনের সুপারিশ করা হলেও শাস্তির জায়গাগুলোতে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। বিলে দেশের যে কোনো ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় রাস্তাঘাটে মল-মূত্র ত্যাগ, মাতলামি, ভিক্ষাবৃত্তি বা জুয়া খেলার শাস্তি হিসেবে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আর আগের আইনের ২৯২টি ধারা থেকে কিছু বাদ এবং নতুন কিছু সংযোজন করে ২১৮টি ধারা রাখা হয়।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, এ‌প্রিল ০৩, ২০১৮
এসএম/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।