ঢাকা, বুধবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

শুরু হচ্ছে বসুন্ধরা খাতা-কালের কণ্ঠ স্কুল বিতর্ক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৫৭, এপ্রিল ৩, ২০১৮
শুরু হচ্ছে বসুন্ধরা খাতা-কালের কণ্ঠ স্কুল বিতর্ক ছবি: ডিএইচ বাদল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বসুন্ধরা খাতা-কালের কণ্ঠ জাতীয় স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০১৮ আগামী সপ্তাহে সারাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) বসুন্ধরা গ্রুপের ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেড কোয়ার্টার-২ এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক ইয়াশা সোবহান বলেন, বসুন্ধরা পেপারস মিল নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন।

আপনারা জানেন বসুন্ধরা পেপার মিলস দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ পেপার মিলস। আমরা একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছি। আমার ইচ্ছা যাতে দেশের সব ঘরে ঘরে সব শিক্ষার্থীদের কাছে আমাদের বসুন্ধরা খাতাটা পৌঁছে যায়। সবাই যাতে বুঝতে পারে অন্যদের চেয়ে আমাদের খাতাটা কতোটা কোয়ালিটি সম্পন্ন।

কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ইয়াশা সোবহান বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক। আমরা (কালের কণ্ঠ) বসুন্ধরা খাতার সঙ্গে যে কাজটি করতে যাচ্ছি, সেটি ইয়াশা ম্যামের কল্যাণেই করতে পারছি। তিনি আমাদের সাপোর্ট দিচ্ছেন। ছবি: ডিএইচ বাদল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমতিনি বলেন, ইয়াশা সোবহান অটিস্টিকদের নিয়ে একটি বড় ধরনের কাজ করেন। তিনি কেরানীগঞ্জে অটিস্টিকদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেখানে ৫০০ ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করে। সাধারণ ছেলে-মেয়েদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করা সহজ ব্যাপার। আমাদের দেশে এ ধরনের অনেক স্কুল আছে। কিন্তু অটিস্টিকদের নিয়ে কাজ করা অত্যান্ত দুরুহ একটা ব্যাপার। তিনি সে কাজটি করেছেন। আমরা নিয়মিত লক্ষ্য করে থাকি, পত্র-পত্রিকায় তার ছবি ছাপা হয়। তিনি অটিস্টিকদের নিয়ে কাজ করছেন, তাদের যত্ন নেন। এটি অনেক বড় একটা মানবিক কাজ। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যাও এ কাজটি করেন। যাকে আমি বড় কাজ বলে মনে করি। আশা করি আমাদের ইয়াশা সোবহানও এক সময় তার সমকক্ষ হয়ে দাঁড়াবেন। এ কাজটির জন্য আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। আজকে বসুন্ধরা খাতার সঙ্গে যে স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা করতে যাচ্ছি, আমাদের প্লানিংটা হচ্ছে প্রত্যেকটা জেলা শহরের ৮টি বড় স্কুলকে আমরা আমন্ত্রণ জানাবো। তারা বিতর্ক করবে। সেখান থেকে একটি দলকে আমরা নির্বাচন করবো। এভাবে বিভাগীয় পর্যায়ে নিয়ে আসবো। পরে ঢাকায় অনেক বড় আয়োজন হবে।  

কালের কণ্ঠের সম্পাদক বলেন, আপনাদের স্মরণ করে দিতে চাই। বসুন্ধরা গ্রুপ কোনো ছোট কিছু করে না। আগেও বলেছি, বসুন্ধরা গ্রুপ মোগলদের মতো, মোগলরা ছোট কিছু করতো না। বসুন্ধরা গ্রুপ যা কিছু করে সব বড় করেই করে। বসুন্ধরা খাতার সঙ্গে কালের কণ্ঠ যুক্ত হয়ে যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা করছি, এটিকেও আমরা একটি বড় পর্যায়ে নিয়ে যাবো এবং এটি বাংলাদেশে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করবে। বসুন্ধরা খাতাকে স্কুলে জনপ্রিয় করার জন্যই যে আমরা এটা করছি তা নয়, ব্যাপারটা হচ্ছে একটি ভালো পণ্য ছেলে-মেয়েদের হাতে পৌঁছানো। তারা বুঝুক যে বাজারে প্রচলিত অন্য খাতাগুলোর সঙ্গে বসুন্ধরা খাতার ব্যবধানটা কোথায়। এটি আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের জানিয়ে দিতে চাই। এটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। সুতরাং এ প্রতিযোগিতায় সারাদেশ আমাদের সঙ্গে একত্রিত হবে। সারাদেশ থেকে ছেলে-মেয়েদের যখন আমরা একত্রিত করতে পারবো তখন তাদের সঙ্গে অভিভাবকরা যুক্ত হচ্ছেন, শিক্ষকরা যুক্ত হচ্ছেন, পুরো সমাজ যুক্ত হচ্ছে, পুরো দেশ যুক্ত হচ্ছে। আমরা সে কাজটি করতে চাই। ছবি: ডিএইচ বাদল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএক প্রশ্নের জবাবে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, আমাদের শুভ সংঘতে তিন লাখ ছেলে-মেয়ে কাজ করে। তারা সারাদেশে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আমাদের সঙ্গে কাজ করবে।

চূড়ান্ত বিজয়ীদের জন্য অনেক বড় আর্থিক পুরস্কার থাকবে বলেও জানান কালের কণ্ঠের সম্পাদক।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা গ্রুপের ডিএমডি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বসুন্ধরা পেপার সেক্টরের একাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স বিভাগের প্রধান মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম, বসুন্ধরা পেপার মিলসের টিস্যু, এ ফোর সেলস বিভাগের প্রধান মো. মাসুদুজ্জামান, পেপার সেক্টরের জিএম, মার্কেটিং অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মো. তৌফিক হাসান, কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল, জিএম বিজ্ঞাপন হারুনুর রশিদ, জিএম বিজ্ঞাপন ইউসুফ মামুন, এজিএম বিজ্ঞাপন মঞ্জুর হোসেন, শুভ সংঘের জাকারিয়া জামান ও ইভেন্ট অ্যান্ড এক্টিভেশনের এক্সিকিউটিভ মাহমুদ রেজা দিপু।  
 
বাংলাদেশ সময় : ১৯৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।