এ আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন-২০১৮ নামে অভিহিত হবে।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) ডেইলি স্টার ভবনে ফেয়ার ওয়ার ফাউন্ডেশন আয়োজিত 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের উপর প্রবন্ধ এবং খসড়া আইন ২০১৮' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে,
বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক, ব্যক্তি মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রণাধীনসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ওয়ার্কাস গ্রুপ অব আইএলও'র সভাপতি ক্যাটলিনা প্যাসচিয়ার সেমিনারে সবার প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনাদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইনটি দরকার কি না? যদি আপনারা আইনটি চান তাহলে এটা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আমাদের সবার।
ফেয়ার ওয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলেকজেন্ডার কনস্টাম বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের সব কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির ঘটনা বন্ধ হোক। আমরা ইতোমধ্যে কিছুটা সফলতা পেয়েছি। কিন্তু আমরা আরো বড় সফলতা চাই। কারণ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা যৌন হয়রানির ঘটনা শুনতে পাই। এই যৌন হয়রানি বন্ধ করতে একটি আইনের প্রয়োজন। এই আইন সম্পর্কে শ্রমিক, মালিকপক্ষ, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ সবার মতামত অত্যন্ত জরুরি। ভালো ব্যবসার জন্য কর্মক্ষেত্রে কর্মপরিবেশের উন্নয়ন খুব জরুরি। আর কর্মপরিবেশের জন্য এই আইনটি অত্যন্ত কার্যকারী। এ ব্যাপারে আইন হলে আমাদের সবার জন্য খুবই কার্যকারী হবে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করার একটি ভালো মাধ্যম। বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের জন্য কর্মক্ষেত্রের একটি ভালো পরিবেশের প্রয়োজন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- ফেয়ার ওয়ার ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার কুন উস্টেরম, ফেয়ার ওয়ার ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ বাবলু রহমানসহ প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা কিছুটা হলেও সফল হয়েছি। আমরা হাইকোর্টের রায়ের আলোকে একটি আইনের খসড়া তৈরি করেছি। যদিও আইন দিয়ে সব কিছু সমাধান হবে না। তবুও এটি খুব প্রয়োজন। কারণ বিশ্বের সব দেশেই যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন রয়েছে। যৌন হয়রানির বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। কারণ বর্তমানে হয়রানির ধরন বদলে গেছে। এই আইনটা যাতে পাস হয় সেজন্য সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ৩ এপ্রিল, ২০১৮
এমএএম/আরএ