মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) ভোরে টেকনাফের হোয়াইক্যং বাজার এলাকার চেম্বার থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক সুরেশ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া কলাউজান এলাকার পরিতোষ কান্তি নাথের ছেলে।
তাসলিমার স্বামী হেলাল উদ্দিন জানান, নয়দিন আগে ছেলে সন্তান জন্ম দেন তাসলিমা। এরপর থেকে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তাকে মধ্যরাতে সুরেশ কান্তি নাথের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সুরেশ ইনজেকশনসহ অন্য ওষুধ দেন। চিকিৎসার ঘণ্টাখানেকের মাথায় ডাক্তারের চেম্বারেই মারা যান তাসলিমা।
ঘটনাস্থল থেকে সুরেশকে মদ্যপ অবস্থায় গ্রেফতার করে পুলিশ।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত বড়ুয়া জানান, এ ঘটনায় হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় হত্যা মামলা করেন। তাসলিমার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর আটক সুরেশকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আবদুস সালাম জানান, একদিকে প্রসূতি অন্যদিকে শরীর ফুলে গেছে এমন রোগীকে সুরেশের দেওয়া চিকিৎসা যথাযথ হয়নি। প্রসূতির চিকিৎসা সম্পূর্ণ ভিন্ন। হত্যার অভিযোগে তার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিৎ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
টিটি/আরআর