মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলার পবা উপজেলার হাড়ুপুর এলাকায় পদ্মা নদীর তীর রক্ষা কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এ সংসদ সদস্য বলেন, ধীরে ধীরে পলি জমে নাব্যতা হারিয়েছে পদ্মা।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আসছে বর্ষা মৌসুমের পরই ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে। এই ড্রেজিংয়ের পর শহরের পাশে পদ্মা নদীতে সারাবছর পানি থাকবে। পদ্মার তীর রক্ষা প্রকল্পেরই একটি অংশ নদী ড্রেজিং। পুরো প্রকল্পের ব্যয় ২৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু নদী ড্রেজিংয়ের ব্যয় ২৮ কোটি টাকা। নদী তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিংয়ের পর ওই এলাকায় পাকা সড়ক নির্মাণ করে দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হবে। এতে এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন তিনি।
নদীর তীর রক্ষা কাজ পরিদর্শনকালে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সদস্য মনির উদ্দিন পান্না, রাজপাড়া থানা সম্পাদক আবদুল মতিন, সদস্য মোশাররফ হোসেন, মো. মিজু, যুবমৈত্রীর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক বকুল সঙ্গে ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে রাজশাহী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, পাঁচটি প্যাকেজে এ মুহূর্তে মহানগরীর বুলনপুর থেকে হাড়ুপুর পর্যন্ত দুই হাজার ৬৫০ মিটার নদীর তীর রক্ষার কাজ চলছে। গত বছরের জুন থেকে শুরু হওয়া এ কাজের অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। এ কাজের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। তবে এর আগেই কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
এসএস/জেডএস