মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানটি রমনার বটমূলে করবে ছায়ানট।
ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হিসেবে বিভিন্ন বিষয় প্রদর্শন করা হবে। রমনার বটমূলসহ সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
হাতিরঝিল, গুলশান, বনানী, উত্তরাসহ অন্য এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ইভটিজিং প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। ভুভুজেলা পথচারীদের বিরক্তির পাশাপাশি অনেক সময় ইভটিজিংয়ে ব্যবহার হয়। এজন্য ভুভুজেলা ব্যবহার বন্ধ থাকবে।
নিরাপত্তার স্বার্থে রমনা লেক ও হাতিরঝিল এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক ডুবুরি, দমকল বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। অনুষ্ঠানস্থলে ম্যাচ ও লাইটার নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। মোটরসাইকেল ব্যতীত একজনের বেশি ও ব্যাকপ্যাক বহন করা যাবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াও আয়োজকদের নিজস্ব নিরাপত্তা থাকবে।
দেশব্যাপী নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রা, মেলা প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাঙালি জাতি উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা বর্ষকে বরণ করে নেয়। এসব অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবার কার্যকর ভূমিকা থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার, বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
** পহেলা বৈশাখ ঘিরে নিরাপত্তা বলয়
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮/আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা
এসই/আরআর