ঢাকা, রবিবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

আইসিটি-গুণগত শিক্ষার চ্যালেঞ্জ ৮ দেশের শিক্ষামন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:২১, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭
আইসিটি-গুণগত শিক্ষার চ্যালেঞ্জ ৮ দেশের শিক্ষামন্ত্রীর ই-নাইন ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের একদশতম সম্মেলন-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে গুণগত মানের শিক্ষা অর্জনের ওপর জোর দিয়েছেন আট দেশের শিক্ষা ও উন্নয়ন মন্ত্রীরা। পাশাপাশি বয়স্ক শিক্ষার ওপরও আলোচনা হয়েছে। এজন্য অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের জন্য একমত হয়েছেন তারা।

রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) প্রথমবারের মতো ঢাকার র‌্যাডিসন ব্লুতে তিন দিনব্যাপী ই-নাইন মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের একটি সেশনে অংশ নিয়ে, আট দেশের মন্ত্রীরা নিজ দেশের শিক্ষার ওপর বক্তব্য দিয়ে মত ব্যক্ত করেন।
 
‘মিনিস্টেরিয়াল প্যানেল: প্রায়োরিটিজ অ্যান্ড পারস্পেক্টিভস অন এডুকেশন-২০৩০’ সেশনে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চীন, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানের মন্ত্রীরা বক্তব্য রাখেন।


 
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
 
ভারতের শিক্ষামন্ত্রী (এইচআরডি) শাহ উপেন্দ্র বলেন, আমাদের কোয়ালিটি ও আইসিটি এডুকেশনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য নলেজ শেয়ারিং করতে হবে।  
 
কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে মিশরের শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী আল-হেলালী আল-শেরাবী আল হেলালী জানান, তারা আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে আরও ২শটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করবেন। তিনি কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেন।
 
নিজের দেশে মেয়েরা পিছিয়ে রয়েছে জানিয়ে মিশরের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মূল ধারার সঙ্গে নারীদের নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি। সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতার মাধ্যমে এর উন্নয়ন করতে চায় মিশর।
 
পঞ্চম শ্রেণির পর যেসব শিশু ঝরে পড়ছে তাদের জন্য কারিগরি শিক্ষা বা প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন পাকিস্তানের ফেডারেশ এডুকেশন অ্যান্ড প্রফেশনাল ট্রেনিং মন্ত্রী (শিক্ষামন্ত্রী) মোহাম্মদ বালিঘ-উর রহমান।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভালো করছে। সহযোগিতার যুগে এক প্লাটফর্মে কাজ করবো।
 
বাংলাদেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার তথ্য তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি এই নয়টি দেশে। অ্যাডাল্ট লিটারেসি সবচেয়ে কম এসব দেশেই। এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মোকাবিলায় সব দেশ একসঙ্গে কাজ করবো।
 
সব দেশের জন্য শিক্ষার গুণগত মান অর্জনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তিনি বলেন, সেটার ওপর আমাদের সবাইকেই জোর দিতে হবে। কোয়ালিটি এডুকেশনের জন্য চাই উপযুক্ত শিক্ষক। সবাই মিলে এই দিকে জোর দেবো।
 
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সৃজননশীল পদ্ধতি, শ্রেণিকক্ষ মূল্যায়ন, শিক্ষাবিদদের নিয়ে কারিকুলাম পরিমার্জন, উচ্চ শিক্ষায় মেয়েদের উপস্থিতি, বিনামূল্যে বই বিতরণ, প্রাথমিকে সার্বজনীন শিক্ষা চালু, মিড-ডে মিল চালু প্রভৃতি উদ্যোগ তুলে ধরেন নাহিদ।
 
শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে চীনের ভাইস শিক্ষামন্ত্রী লি জিয়াওহং, ইন্দোনিশিয়ার শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ক চেয়াররম্যান টোটো সুপ্রায়ান্ত, নাইজেরিয়ার শিক্ষামন্ত্রী এন্থনি গোজি আনওয়াক, ব্রাজিলের শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা ক্যামপস দ্য নোরিগা বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে মেক্সিকো অংশ নেয়নি।
 
ইউনেস্কোর ডাইরেক্টর জেনারেল ইরিনা বোকোভা, বাংলাদেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন সকালে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
 
শুরুতেই শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ দুই বছরের জন্য এই ফোরামের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৭

এমআইএইচ/আরআর/এসএনএস

**ই-নাইন ফোরামের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন শিক্ষামন্ত্রী​

**প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা ইউনেস্কো মহাপরিচালকের

**ঢাকায় ই-নাইন ফোরামের সম্মেলন উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।