ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেয়ে তুরস্ক যাচ্ছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করে।
তুরস্কের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, শুক্রবার বিকেলে একটি ফ্লাইটে তুরস্কের উদ্দেশ্যে ইসরায়েল ছাড়েন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম। টিকে-৬৯২১ ফ্লাইটি স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটার দিকে ইস্তাম্বুলে অবতরণ করার কথা।
এদিকে, শহিদুল আলমের মুক্তি ও দেশে প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ শহিদুল আলমকে অবৈধভাবে আটক করার পরপরই জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে দূতাবাসগুলো।
এর আগে আন্তর্জাতিক ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ গাজা অভিমুখে যাত্রা করে। ৪০টির বেশি নৌযান ইসরায়েলি অবরোধ উপেক্ষা করে গাজায় ঢোকার চেষ্টা করলে ইসরায়েলি সেনারা সেগুলো দখল করে নেয় এবং জাহাজে থাকা মানবাধিকারকর্মীদের আটক করে।
পরে আরও ১১টি জাহাজ নিয়ে আরেকটি বহর ১ অক্টোবর গাজার উদ্দেশে রওনা হয়। এ অভিযানের আয়োজক ছিল আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি)।
এই বহরের ‘কনশানস’ নামের একটি জাহাজে ছিলেন বাংলাদেশের দৃক গ্যালারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। তার সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এমইউএম/এসআইএস