পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজা নিরাপদে সুন্দরভাবে উদযাপিত হবে। পুলিশ পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থায় থাকবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৫ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভায় আইজিপি এ কথা বলেন।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ প্রাক পূজা, পূজা চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জন ও পূজা পরবর্তী তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে পূজাকেন্দ্রিক পুলিশের নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আইজিপি আশা প্রকাশ করে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে নিরাপদে নির্বিঘ্নে উদযাপিত হবে। তিনি এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবি প্রধান মো. গোলাম রসুল, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা, অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, এটিইউ'র অতিরিক্ত আইজি মো. রেজাউল করিম, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি কুসুম দেওয়ান, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. মাইনুল হাসান, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন মজুমদার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও ও সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দে, শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রমের আহ্বায়ক তপন কুমার বসু, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মৃণাল কান্তি বৈষ্ণব ও যুগ্ম আহ্বায়ক অলোক বসু, রমনা কালী মন্দিরের সদস্য সচিব মিনি কুমার দাস অদিত, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপার ও নৌ পুলিশের পুলিশ সুপাররা ভার্চ্যুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার জন্য পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
পূজা চলাকালে সিসিটিভি সক্রিয় রাখা, প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য পূজা উদযাপন পরিষদ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
দুর্গাপূজা চলাকালে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি সোয়াট, ক্রাইম রেসপন্স টিম (সিআরটি) ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং অন্যান্য পুলিশ ইউনিটে মনিটরিং সেল চালু থাকবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ৩১ হাজার ৫৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।
এজেডএস/আরআইএস