নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোকসেদা আক্তার প্রিয়া (২৩) একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু জন্মের পর থেকেই তারা সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিল।
প্রিয়ার পরিবার জানায়, গর্ভধারণের ২৭তম সপ্তাহে ছিলেন তিনি। স্থানীয়ভাবে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেন এবং আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভে পাঁচ সন্তান আছে বলে জানা যায়। গত ৯ সেপ্টেম্বর তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বড় বোন লিপির বাসায় আসেন। সেখানে মনোয়ারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ ব্যথা শুরু হলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের গাইনি বিভাগে স্বাভাবিকভাবে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
ঢাকা মেডিকেলের নবজাতক বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. নিলুফার ইয়াসমিন জানান, প্রিয়া ২৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। নবজাতকরা সবাই অপরিপক্ব অবস্থায় জন্ম নেয়, যাদের ওজন ছিল ৬১৫ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রামের মধ্যে।
জন্মের পরপরই তিন শিশুকে ঢাকা মেডিকেলের নবজাতক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) এবং বাকি তিনজনকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে একে একে পাঁচজন মারা যায়।
রোববার বিকালে প্রথম নবজাতক মারা যায় ঢাকা মেডিকেলে। রাতে বেসরকারি হাসপাতালে মারা যায় আরেকজন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে আরও দুইজন এবং দুপুরে আরেকজন মারা যায়। বর্তমানে কেবল প্রিয়ার মেয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, যদিও তার অবস্থাও ভালো নয়।
প্রিয়ার ননদ ফারজানা আক্তার জানান, মৃত শিশুদের আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। প্রিয়াকে ঢাকা মেডিকেল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রিয়া নোয়াখালীর খাজুরিয়া গ্রামের কাতার প্রবাসী মো. হানিফের স্ত্রী।
এজেডএস/এমজে