দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ২০১৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শামসুন্নাহার হল সংসদের ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে জয়ী হওয়া সেই ইমি এবার ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলে ডাকসুর ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে রয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে রয়েছেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল। সোমবার (১৮ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়।
প্রতিরোধ পর্ষদ তাদের প্যানেল ঘোষণার পর থেকে ভিপি পদপ্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যে ভিডিওতে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার প্রস্তাব দেন। তবে ইমির দাবি, তার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলে ডাকসুর ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদপ্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘১৯ সালে শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার ব্যাপারে আমার বক্তব্যের কিছু খণ্ডিত অংশ দেখলাম প্রচার করা হচ্ছে। অনেকেই এই ব্যাপারে আমার বর্তমান অবস্থান জানতে চাচ্ছেন। আমার অবস্থান আমি খুব পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই। আমি নিরপরাধ মানুষ এবং ছাত্রখুনের নির্দেশদাতার সর্বোচ্চ বিচার চাই। ফুলস্টপ। ’
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনের পর এক টেলিভিশন টক শো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর তৎকালীন ভিপি নুরুল হক ও জিএস গোলাম রাব্বানীও।
ইমি সেখানে বলেন, ‘আমার হলে যেহেতু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, কয়েক জায়গায় হয়নি এটি আমাকে মানতে হবে, কিন্তু যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী ছিলেন এবং তাকে যেহেতু আন্তরিক দেখেছি আমরা, ডাকসু নির্বাচনটি যেহেতু সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে, তার আন্তরিকতা ছাড়া কিন্তু এটা সম্ভব ছিল না। তিনি আমাদের গণভবনে ডেকে যে আতিথেয়তা দিয়েছেন, অন্তত কৃতজ্ঞতাবশত হলেও তাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য ঘোষণা করা উচিত। ’
পরে সে বছরের ৩০ মে ডাকসুর দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভায় হাসিনাকে আজীবন সদস্য ঘোষণা করা হয়। যে বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়, সেখানে অবশ্য ভিপি নুরের স্বাক্ষর ছিল না। এই সিদ্ধান্তে সমর্থন ছিল না তৎকালীন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক ও বর্তমানে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনেরও।
এনডি/