সিলেট: অবশেষে জাফলংয়ের প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) থেকে পাথর লুটপাটের ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করে।
তিনি বলেন, সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মোনায়েম বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় মামলাটি (নং-২৯(৮)/২৫) দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৭, ৮ ও ৯ আগস্ট গভীর রাত ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বৃষ্টির মধ্যে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের ইসিএভুক্ত এলাকা থেকে অন্তত ৪০ হাজার ঘনফুট পাথর লুটপাট হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলেও জানান ওসি।
এছাড়া, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে জাফলং ইসিএভুক্ত এলাকায় পাথর লুটপাটের ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর ১১টি মামলা দায়ের করেছে বলে জানান অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা। প্রথম মামলাটি করা হয় গত বছরের সেপ্টেম্বরে, যেখানে ৯২ জন চিহ্নিত পাথর লুটপাটকারীকে আসামি করা হয়েছিল। তবে কেবল একজন আসামিকে সেনাবাহিনী আটক করতে পেরেছিল।
পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রাক্তন সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা বলেন, জাফলং ইসিএ এলাকায় পাথর লুটের ঘটনায় গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ১১টি মামলা দায়ের করি। কিন্তু কোনো মামলারই আসামিকে পুলিশ প্রেপ্তার করেনি। আমরা পুলিশকে রিকুইজিশন দিয়েছি, মামলাগুলোর বিষয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গেও দেখা করেছি। কিন্তু কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সেসময় যদি ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে আজকের এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না, লুটপাট ঠেকানো যেত।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ওসি তোফায়েল আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, পরিবেশ আইনের মামলাগুলো জামিনযোগ্য। সে কারণে আসামিরা জামিনে বেরিয়ে যায়।
এনইউ/এসআইএস