ঢাকা: আগামীকাল শুক্রবার (১৫ আগস্ট)। ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দিনটি ঘিরে থাকত নানা আয়োজন, তবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর এবার নেই কোনো আনুষ্ঠানিকতা। এদিনকে ঘিরে সম্ভাব্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কার্যক্রম ঠেকাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পাশাপাশি এলাকা জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে ধানমন্ডি ৩২-এর প্রবেশমুখে দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভেতরে বিক্ষুব্ধ জনতা অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।
ধানমন্ডি ৩২-এর প্রধান ফটকে পুলিশের ব্যারিকেড বসানো হয়েছে, সামনে রাখা আছে সাজোয়া যান ও জলকামান। এলাকা জুড়ে টহল দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
দায়িত্বরত একাধিক পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, দিনটি ঘিরে তারা সতর্ক অবস্থানে আছেন এবং নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে।
এদিকে বিকেল থেকেই জনতা সেখানে অবস্থান নেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আওয়ামী লীগ কর্মী সন্দেহে তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক ব্যক্তি ধানমন্ডি ৩২-এ এসে ভিডিও কলে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন। ওই কলের অপর প্রান্তে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের ছবি দেখা গেলে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাদের দাবি, ওই ব্যক্তির ফোনেও একই ধরনের ছবি ছিল।
একজন বলেন, গতকাল শেখ হাসিনার ছেলে জয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ৩২ নম্বরে অবস্থান নিতে বলেছে। তাই তারা যাতে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, সেজন্য আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি।
পরে রাত ৯টার দিকে আরেকজনকেও একইভাবে গণপিটুনি দেওয়া হয়। তবে কেন তাকে আওয়ামী লীগ কর্মী বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে কেউ নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি।
এসময় জনতা ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এমএমআই/এসআই