দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয়ের জন্য চীন সরকারের সহায়তায় একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (এনইওসি) প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক।
রোববার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সৌজন্য সাক্ষাতে উপদেষ্টা একথা জানান।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারা উভয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে কাজ করবে বলে একমত পোষণ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয়ের জন্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (এনইওসি) প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। চীন সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় শিগগিরই এর কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষে এরই মধ্যে চীন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
উপদেষ্টা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে জরুরি দুর্যোগ পরিস্থিতিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসামগ্রী সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য চট্টগ্রাম ও সিলেটে আরো দুটি আঞ্চলিক ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (এনইওসি) কাম গুদামঘর নির্মাণের বিষয়ে চীন সরকারের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
সাক্ষাৎকারে, চীনের রাষ্ট্রদূত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের দুর্যোগ-ত্রাণ ও পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত।
উপদেষ্টা ফারুক ই আজম চীনের এই সহযোগিতার প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে চীনকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন।
এছাড়াও, সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, চীন দূতাবাসের প্রথম সচিব জি জিয়াওফেং এবং তৃতীয় সচিব বাই ঝাজিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআইএইচ/জেএইচ