অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রমে গতি সঞ্চারিত হয়েছে। এ সময়ে মন্ত্রণালয় ১ হাজার ২৮৩টি ফাইল নিষ্পত্তি করেছে, যা আগের সরকারের একই সময়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল ৮৩৪টি ফাইল।
শনিবার (০৯ আগস্ট) সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, আগের চেয়ে মন্ত্রণালয় দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সরকারি সংস্থাগুলোতে বিস্তৃত আইনগত সহায়তা এবং সত্যায়ন ও নথি যাচাইয়ের মতো জনসেবায় গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি করেছে। গত এক বছরে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪৪টি সনদপত্র, হলফনামা, দলিল ইত্যাদি নথি সত্যায়ন করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
বিগত বছরে আইন প্রণয়নের নানা বিষয়ে রেকর্ড ১২টি স্টেকহোল্ডার পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা অংশগ্রহণমূলক শাসন ও আইন প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া, মন্ত্রণালয় নবগঠিত একাধিক কমিশনকে (যেমন: গুম তদন্ত কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) সেক্রেটারিয়াল সহায়তা দিয়েছে।
মন্ত্রণালয় গত এক বছরে বিভিন্ন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ৪ হাজার ৮৮৯ জন সরকারি আইন কর্মকর্তা এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে ২৭৪ জন আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে। পাশাপাশি, আপিল বিভাগে ৫ জন বিচারপতি ও হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ জন বিচারপতি নিয়োগে সহায়তা করেছে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জন্য প্রসিকিউটর ও বিচারক নিয়োগ দিয়েছে।
গত এক বছরে মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল রূপান্তরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের ৫০ শতাংশ ফাইল ‘ডি-ডকুমেন্টস’ নামের ডিজিটাল ফাইল ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে, যা প্রশাসনিক দক্ষতা ও স্বচ্ছতায় এক বড় মাইলফলক। এ ছাড়া, মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন সেবা পুরোপুরি অনলাইনভিত্তিক হয়েছে, ফলে জনগণ ঘরে বসেই এ সেবা নিতে পারছেন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত অপরাধের বিচার নিশ্চিত ও দ্রুততর করতে মন্ত্রণালয় একটি বিশেষ প্রসিকিউশন মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এই বিশেষ ইউনিটটি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এসব মামলার বিচার প্রক্রিয়া নিবিড়ভাবে তদারকি করছে, যেন ভুক্তভোগীদের জন্য যথাযথ ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।
জিসিজি/এমজেএফ