ঢাকা: ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (আইজিসিসি) সহযোগিতায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার প্রাঙ্গণে আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদ্যাপন করেছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আশীর্বাদ সহভাগিতা করতে গিয়ে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি বুদ্ধপ্রিয় মহাথেরো বলেন, আষাঢ়ী পূর্ণিমার পবিত্র তাৎপর্য, যেদিন গৌতম বুদ্ধ সারনাথে তার প্রথম ধর্মোপদেশ দিয়েছিলেন, সেই দিনটিকে চিহ্নিত করে, যার ফলে ধম্মচক্কপবত্তন বা ধর্মের চক্র ঘুরানোর সূচনা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা তার বক্তব্যে ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন বৌদ্ধ ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন, যেখানে ভারত হলো বুদ্ধের বোধিজ্ঞান, প্রথম ধর্মোপদেশ ও মহাপরিনির্বাণের ভূমি এবং বাংলাদেশ হলো প্রভু অতীশের মতো বৌদ্ধ নেতাদের আবাসস্থল। তিনি পুনরায় নিশ্চিত করেন, ভারত বৌদ্ধ নিদর্শন সংরক্ষণ, সন্ন্যাস শিক্ষাকে সমর্থন ও সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভগবান বুদ্ধের শিক্ষা প্রচার ও বৌদ্ধ ঐতিহ্যকে সমর্থন করার জন্য গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 'বৌদ্ধ সার্কিট' উদ্যোগের মাধ্যমে, ভারত সরকার ভগবান বুদ্ধের পদচিহ্ন অনুসরণ করে তীর্থযাত্রীদের ভারতের পবিত্র বৌদ্ধ স্থানগুলো-লুম্বিনী থেকে বোধগয়া, সারনাথ থেকে কুশীনগর পরিদর্শনের সুযোগ করে দিয়ে থাকে।
এ আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংঘের সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার বড়ুয়া ও শ্রদ্ধেয় ভদন্ত স্বরূপানন্দ ভিক্ষু। এ অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক তরুণ প্রতিনিধি, ভিক্ষুসংঘ, শিল্পীরা, শিক্ষাবিদরা, কূটনীতিক ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে “দ্য ওয়ে অব বুদ্ধ” শিরোনামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়, যেখানে বুদ্ধের জীবন, উপদেশ ও তার বিশ্বব্যাপী প্রভাবকে চিত্রায়িত করে একটি দৃশ্যমান যাত্রা উপস্থাপন করে।
এ অনুষ্ঠানটি “বুদ্ধ–দ্য এনলাইটেন্ড ওয়ান” শীর্ষক একটি নৃত্যনাট্যের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়, যা পরিচালনা ও পরিবেশন করেন সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের পরিচালক ও ভারত সরকারের আইসিসিআর-এর একজন খ্যাতিমান সাবেক শিক্ষার্থী নৃত্যশিল্পী আনিসুল ইসলাম হিরো।
টিআর/জেএইচ