ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন আওলাদ ও খিলগাঁও থানার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে খিলগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলারও এজাহারনামীয় আসামি।
রোববার (২৯ জুন) রাতে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শনিবার (২৮ জুন) রাতে তুরাগ এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় আসামিদের গ্রেপ্তার করে খিলগাঁও থানা পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) আসামিদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন আদালতে পাঠানো হলেও মূলনথি না থাকায় রিমান্ড শুনানি পিছিয়ে যায়। দুই আসামি বর্তমানে কারাগারে আছে।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে গ্রেপ্তার আসামিরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। গত ৪ আগস্ট খিলগাঁও থানাধীন গোরান এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়া ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে গ্রেপ্তার আসামিদের সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের সশস্ত্র হামলায় খিলগাঁও এলাকায় বহু ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ জনতা হতাহত হয়।
এদিকে গ্রেপ্তাররা সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলারও আসামি।
হাওলাদার ও জুয়েলের গ্রেপ্তারের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে খিলগাঁও ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিশাল মিছিল বের করে স্থানীয় জনতা ও বিএনপির লোকজন। মিছিল থেকে তাদের দুজনের বিচারের দাবি করা হয়।
এজেডএস/জেএইচ