ঢাকা, শনিবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২, ২৮ জুন ২০২৫, ০২ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২২, জুন ২৮, ২০২৫
বন ও প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা  ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ শুধু পরিবেশের জন্য নয়, অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার ভিত্তি। তাই এই সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সব অংশীজনের সম্মিলিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর বন অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘ওয়ার্কশপ ফর সেকেন্ড সাইকল অব দ্য ন্যাশনাল ফরেস্ট ইনভেন্টরি অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ন্যাশনাল ভেলিডেশন অ্যান্ড ওয়ার্কশপ অন দ্য জেনারেশন অব দ্য ল্যান্ড কাভার অ্যান্ড ন্যাচারাল ক্যাপিটাল ম্যাপ অ্যান্ড ডেভেলপিং ইন্টিগ্রেটেড কোলাবোরেটিভ ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানস’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তার বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বনকে কার্বন ট্রেডিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে অক্সিজেন সরবরাহকারী ও জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখতে হবে। উন্নত বিশ্ব যদি শুধু কার্বন ক্রেডিট কেনে, তারা প্রকৃতপক্ষে নির্গমন কমাবে না। ডিগ্রেডেড বন পুনরুদ্ধার, কমিউনিটিভিত্তিক ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং সুফল প্রকল্পের ভেরিফিকেশন করাতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন যে, জাতীয় বন জরিপের দ্বিতীয় চক্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বনবিষয়ক তথ্যভাণ্ডার গঠন, বনভিত্তিক নীতিনির্ধারণ, প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।  
উপদেষ্টা আরও বলেন, ভূপ্রকৃতি, ভূমি ব্যবহার ও ন্যাচারাল ক্যাপিটাল সংক্রান্ত মানচিত্র এবং সমন্বিত বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা আমাদের টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

তিনি জানান, এই কার্যক্রম একটি ভালো উদ্যোগ। এখন প্রয়োজন থার্ড পার্টি অ্যানালাইসিস, অনলাইন ও প্রযুক্তিনির্ভর মনিটরিং এবং পাঁচ বছর অন্তর তথ্য হালনাগাদ করা।  

তিনি বলেন, বিদেশি সহায়তার অপেক্ষায় না থেকে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই ইনভেন্টরি পরিচালনা করতে হবে।

বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন।  

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; বাংলাদেশে এফএও প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এবং সিইজিআইএস-এর নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

গোবিন্দ রায়, ডিসিসিএফ এবং প্রকল্প পরিচালক, টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্প স্বাগত বক্তব্য রাখেন।  

মো. আবদুল্লাহ আব্রাহাম হোসেন, ডিসিএফ, ডিপিডি, সুফল, বন বিভাগ এবং সিইজিআইএস টিম, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, পরিচালক, রিমোট সেন্সিং বিভাগ, সিইজিআইএস; ড. নিখিল চাকমা, সহযোগী অধ্যাপক, আরইউএসটি এবং জাতীয় আর্থ-সামাজিক পরামর্শদাতা, এফএও বাংলাদেশ; রাজীব মাহমুদ, বন ইনভেন্টরি এবং কার্বন মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, এফএও-বিডি; জহির ইকবাল, উপ-বন সংরক্ষক, রিমস ইউনিট, বন বিভাগ পাঁচটি কি নোট পেপার উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে বন অধিদপ্তর, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, একাডেমিয়া ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।