ঢাকা: রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জমিতে স্থাপিত অস্থায়ী পূজা মণ্ডপটি ছিল অননুমোদিত।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রেলের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে মণ্ডপটি অপসারণ করা হয়।
রেলের জমিতে স্থাপিত এ অস্থায়ী মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছর দুর্গাপূজার সময় কিছু ব্যক্তি কোনো ধরনের পূর্বানুমতি ছাড়াই খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমিতে একটি পূজা মণ্ডপ স্থাপন করেন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এলে পূজা মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরে পূজা শেষে মণ্ডপটি সরিয়ে নেওয়ার শর্তে সাময়িকভাবে পূজা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়।
পূজার আয়োজকরা রেল কর্তৃপক্ষকে পূজা শেষে মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর তারা মণ্ডপটি অপসারণ করেনি। বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও তারা তা না সরিয়ে উল্টো সেখানে স্থায়ী মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। বহুবার বাধা দেওয়া সত্ত্বেও আয়োজকরা সেই প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকেনি।
পরিস্থিতি বিবেচনায় জনসাধারণের সম্পত্তি অবৈধ দখলমুক্ত করতে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমি থেকে অস্থায়ী মণ্ডপটি অপসারণ করা হয়। অভিযানের সময় প্রথমে ১৫০টি দোকানপাট, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, কাঁচাবাজার এবং সবশেষে অস্থায়ী মন্দিরটি সরানো হয়। মন্দিরের প্রতিমা যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানায়, যেকোনো ধরনের বিভ্রান্তি ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
** অস্থায়ী মণ্ডপ অপসারণের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এসকে/এসআরএস