ঢাকা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আমরা শুধু মাদকের বাহকদের ধরছি৷ শুধু বাহকদের ধরলে হবে না, গডফাদারদেরও ধরতে হবে।
বুধবার (২৫ জুন) মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস, ২০২৫" উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩২টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন৷
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা হাতিয়ার চাইলেন সেটা দেওয়া হলো৷ ১৪ শ কোটি টাকার মাদক নিরাময় কেন্দ্র দেওয়া হলো৷ জনবল বাড়ানো হলো৷ এবার এসবের গড ফাদারদের ধরতে হবে৷ বাহকদের ধরে লাভ নেই৷ গড ফাদারদের ধরতে হবে৷
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দুইটা বড় শত্রু৷ এক নম্বর দুর্নীতি এবং আরেকটি হলো মাদক৷ মাদক থেকে কীভাবে আমরা মুক্ত হতে পারি এ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে৷ শুধুমাত্র মাদক নিরাময় কেন্দ্র করে সমস্যার সমাধান করা যাবে না৷ মাদক যেন বাইরে থেকে ঢুকতে না পারে৷ মাদক ঢোকানোর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের তথ্য আমাদের দেন৷ মাদকে আমাদের ভাই বোন ছেলে মেয়ে সবাই সম্পৃক্ত হয়ে গেছে৷ ১ম, ২য় বা ৩য় শ্রেণিতেও মাদক ছেয়ে গেছে৷ মাদক শক্তির নিরাময়ের খরচ অনেক বেশি৷ অনেক গরিবেরা এটা বহন করতে পারেন৷ আমি আশা করব মাদক নিরাময় কেন্দ্রে যেন কারো ঢুকতে না হয়৷
তিনি বলেন, মাদকসেবীদের সংখ্যা যেন ধীরে ধীরে পুরোপুরি কমে আসে৷ যেভাবেই হোক আমাদের সমাজ থেকে মাদককে উচ্ছেদ করতে হবে৷
সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রগুলোতে মাদক উৎপাদন হয় এবং সেগুলো একটি চেইনে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কিন্তু এ বিষয়ে এ দীর্ঘদিনেও এ সমস্যার সমাধান কেন হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, একটি সময় ফেনসিডিল বাচ্চাদের পেটে ব্যথা হলে খাওয়াতো৷ সাপের মতো একটা ছবিও থাকতো৷ আমি অনেক সময় বিজিবি সেনাদের বলতাম যদি ফেনসিডিল ১০০ -২০০ টাকার বিনিময়ে দাও এগুলো একটা সময় তোমার পরিবারের কেউ খেলে তখন বুঝতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, একটি দেশের বাহিনী সীমান্তের মাদক পাচারের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করছে৷ এখান থেকে আয় করে তারা ঘর সংসার চালাচ্ছে৷ এটা কীভাবে বন্ধ করা যায় চেষ্টা করছি৷ আমরা পুরোপুরি সফল হয়েছি বিষয়টা তা নয়৷ তবে আমরা চেষ্টা করছি৷ আজকাল অনেক বদি তৈরি হয়ে গেছে৷ তাদের কীভাবে ধরা যায় সে চেষ্টা করছি।
জিসিজি/জেএইচ
।