ঢাকা, শুক্রবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জুন ২০২৫, ২৩ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

গোয়েন্দা পুলিশের দুই সদস্য যেভাবে গুলিবিদ্ধ হন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৪৪, জুন ১৯, ২০২৫
গোয়েন্দা পুলিশের দুই সদস্য যেভাবে গুলিবিদ্ধ হন আহত দুই পুলিশ সদস্যকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

গুলিতে আহত হয়েও অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে তিন মাদককারবারিকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের একটি টিম। মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তারা মোট ৯ হাজার পিস ইয়াবাট্যাবলেট, একটি প্রাইভেটকার ও একটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের আলামত উদ্ধার করেছেন।

ডিবি-লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম গতকাল বুধবার (১৮ জুন) রাত ৯টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন ফকিরাপুল এলাকার ডিআইটি এক্সটেনশন রোডে অভিযান চালিয়ে প্রথমে আবদুর রহমান (৪০) নামক এক ব্যক্তিকে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আবদুর রহমান জানায়, আরও তিন ব্যক্তি একটি প্রাইভেটকারযোগে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে ওই এলাকায় আসবে। ডিবি সদস্যরা ওই তথ্যের ভিত্তিতে এলাকায় অবস্থান নেয়। রাত ১২টা ২০ মিনিটে একটি সিলভার রঙের প্রাইভেটকার ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গাড়ি থামার পর আব্দুল আজিজ (৩৮) নামের এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে একটি কালো ব্যাগ বের করে অপর একজনকে হস্তান্তর করে। ব্যাগটি প্রাইভেটকারের পেছনের ডালায় রেখে গাড়িটি চালাতে গেলে ডিবি টিম তা ঘেরাও করে।

তল্লাশির সময় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তার কাছে থাকা অবৈধ পিস্তল বের করে এএসআই (নিরস্ত্র) মো. আতিক হাসান এবং কনস্টেবল মো. সুজন আলীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে আতিক হাসানের পেটের ডানদিকে ও কনস্টেবল সুজনের বাম পায়ের হাঁটুর নিচে গুলি লাগে।

তবুও সাহসিকতার সঙ্গে অভিযান চালিয়ে ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল আজিজ ও হৃদয় সরকার আশিক (৩৫)-কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। এ সময় গাড়ি ও ব্যাগ তল্লাশি করে ৮ হাজার পিস ইয়াবা, তিনটি গুলির খোসা ও একটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।

মোট উদ্ধারকৃত ইয়াবার পরিমাণ ৯ হাজার পিস, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২৭ লাখ টাকা।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আব্দুর রহমান ও আব্দুল আজিজ কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আনেন। অপরদিকে, হৃদয় সরকার আশিক এবং পলাতক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মাদক ক্রেতা হিসেবে ইয়াবা নিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা চলছে।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী এই অভিযান চলমান থাকবে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এজেডএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।