ঢাকা: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি-বিজড়িত কাছারিবাড়িতে হামলার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই বলে জানিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহজাদপুরের ঐতিহাসিক রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি সরকার ঘোষিত একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি।
গত ৮ জুন কাছারিবাড়িতে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মচারী ও এক দর্শনার্থীর মধ্যে পার্কিং টিকিট নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির জেরে কথা কাটাকাটি, একপর্যায়ে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় দর্শনার্থী শাহনেওয়াজ মারধরের শিকার হন এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তাকে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ১০ জুন স্থানীয়ভাবে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দোষী কর্মচারীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে উত্তেজিত জনতা রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে প্রবেশ করে কর্মচারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন কর্মচারী আহত হন।
তবে মন্ত্রণালয়ের দাবি, পুরো ঘটনার পেছনে শুধুই ব্যক্তিগত বিরোধ কাজ করেছে। এর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বা সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য নেই। রবীন্দ্রনাথের
স্মৃতিবিজড়িত কোনো নিদর্শনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং কবিগুরুর মর্যাদাহানিকর কোনো ঘটনাও ঘটেনি।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাদেরকে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে কাছারিবাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই প্রশাসনের উপস্থিতিতে এটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, কবিগুরুর ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী সম্প্রতি জাতীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও নওগাঁর পতিসরে উদযাপন করা হয়েছে।
এমআইএইচ/এসআইএস