নিখোঁজ হওয়ার আট দিন পরে রাজধানীর সবুজবাগের বাইকদিয়া এলাকায় মাটি খুঁড়ে জাকির হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তির খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক প্রতিবেশীসহ সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২জুন) সকালে সবুজবাগ বাইকদিয়া ঈদগাহ রোডের একটি ঝোপঝাড়ের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জাকির হোসেনের ছোট ভাই সুমন মিয়া জানান, উত্তর মানিকদিয়ার বাইকদি এলাকায় তাদের নিজেদের বাড়ি। স্ত্রী রেখা আক্তার, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়িতেই থাকতেন জাকির হোসেন। তিনি এলাকায় প্লাস্টিক বোতলের ব্যবসা করতেন। গত ৪ জুন রাত সাড়ে ১১টা থেকে জাকিরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
সুমন মিয়া বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। কোথাও না পেয়ে জাকিরের স্ত্রী রেখা আক্তার বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় একটি অপহরণ মামলা করে। ৪ জুন জাকির ত্রিমোহনীর একটি ব্যাংক থেকে তিন লাখ টাকা তোলে। টাকাগুলো তার কাছেই ছিল। রাত থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ সকালে সবুজবাগ থানা পুলিশের মাধ্যমে মরদেহ পাওয়ার সংবাদ পাই।
নিহতের ভাই সুমন অভিযোগ করে বলেন, কয়েক বিঘা সম্পত্তি নিয়ে চাচাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে লোক ভাড়া করে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। তবে আমার ভাইকে শুধু মেরেই ফেলে নাই, কয়েক টুকরা করে মাটির মধ্যে পুঁতে রাখছে!
এ বিষয়ে সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল আমিন জানান, গত ৪ জুন নিখোঁজ হন জাকির হোসেন। এ বিষয়ে তার স্ত্রী থানায় অপহরণ মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তে গিয়ে জাকির হোসেনের প্রতিবেশী আজাহার (৩০) নামে একজনকে গতরাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মানিকদিয়া চেয়ারম্যান বাড়ি ঈদগাহ রোডের ঝোপঝাড় থেকে মাটি খুঁড়ে জাকিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসআই শামসুল আরও জনান, মরদেহের ৬টি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে শরীর থেকে মাথা, দুই হাত ও দুই পা বিচ্ছিন্ন। তবে ডান হাতের অংশটা পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে শিয়াল বা কুকুর হাতটি খেয়ে ফেলেছে! এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন—শুকুর আলী, স্বপন ও রাজিব। জাকির হত্যার পরে হত্যাকারীরা তার লাশ খণ্ড খণ্ড করে মাটিতে পুঁতে রাখে।
এজেডএস/এমজেএফ