ঢাকা: প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
সোমবার (৯ জুন) বিকেলে গুলশানে নগর ভবনের কার্যালয়ে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, এবার ঢাকা শহরে গরু কোরবানি হয়েছে তিন লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৭টি, ছাগল এক লাখ ৫৪৬টি, ভেড়া চার হাজার ৫১টি, মহিষ এক হাজার ৭৬২টি, অন্যান্য ৪৪টি। এবছর ঢাকায় এখন পর্যন্ত মোট চার লাখ ৬৬ হাজার ৮০টি পশু কোরবানি করা হয়েছে।
প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, প্রথম দিনে আমরা অনুমান করেছিলাম এবার ২০ হাজার টন কোরবানির পশুর বর্জ্য উৎপন্ন হবে। আজকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত যদি আমরা আমাদের হিসাবে বলি, তা হলে ২০ হাজার ৮৮৯ টন বর্জ উৎপাদিত হয়েছে, যেটা আমরা কালেক্ট করে ল্যান্ডফিলে ডাম্প করতে পেরেছি। অর্থাৎ আমাদের ধারণা থেকে সামান্য কিছু বেশি বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোরবানির প্রথম দিন রাত ৮টা পর্যন্ত আমরা ৮৫ শতাংশ বর্জ্য কালেক্ট করতে পেরেছিলাম। তারপরে রাতেও যেহেতু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। যেখানে আমাদের কর্মীরা বাসা বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করে রাস্তায় জড়ো করেছে। তারপর রাস্তা থেকে আবর্জনা ল্যান্ডফিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা ও রাতেও কিছু কোরবানি হয়েছে, সেগুলো আজকে সকালে ল্যান্ডফিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত আমরা যেখানেই ময়লা পাচ্ছি, সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছি। সুতরাং আমরা বলতে পারি আমাদের টার্গেট আমরা ফিলাপ করতে পেরেছি কিন্তু এখনও ময়লা জেনারেট হচ্ছে। আজকে বিকেলেও কিছু কোরবানি হবে। আমরা সেই আবর্জনাও সংগ্রহ করবো। সুতরাং আমরা কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম আজকেই সমাপ্ত ঘোষণা না করে চালিয়ে যাবো।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, জনগণের সাথে কথা বলে দেখেছি, অনেকেই কোরবানির মাংস কাটার যে হোগলপাটি সেটা রেখে দেয়, এক-দুইদিন পরে সেগুলো ডাস্টবিনে ফেলেন। ফলে আগামীকাল কিংবা তার পরেও দিনেও এসব বর্জ্য আমরা পাবো। সেক্ষেত্রে আমাদের পরিচ্ছন্ন অভিযান চলমান থাকবে।
আরকেআর/এএটি