মৌলভীবাজার: তিন দিনের টানা বৃষ্টি এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজার জেলার চারটি নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোববার (১ জুন) জেলার মনু ও জুড়ী নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও গত বছর মনু নদী ও ধলাই নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করার আগে চলতি মৌসুমে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, রোববার (১ জুন) বিকেল ৩টায় মনু নদীর রেলওয়ে ব্রিজে পানি ৮ সেন্টিমিটার, মনু নদীর চাঁদনীঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ও জুড়ী নদীর পানি ১৪৫ সেন্টিমিটার ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ধলাই নদীর রেলওয়ে ব্রিজে পানি ৯৬ সেন্টিমিটার এবং কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, আগেও নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যা হয়েছে, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাঁধের যেকোনো স্থান ভেঙে যেতে পারে। পাশাপাশি আগের বাঁধগুলো এখনো মেরামত হয়নি। যদি পানি বাড়তে থাকে তাহলে আগের বাঁধগুলোতে পানি প্রবেশ করবে।
জানা যায়, গত বছর বর্ষা মৌসুমে টানা ভারী বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় মনু ও ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে একাধিক ভাঙন দেখা দিয়েছিল। এই ভাঙনের কারণে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে বিস্তীর্ণ এলাকা, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও ফিশারি তলিয়ে গিয়েছিল। গৃহহীন হয়ে বন্যাকবলিতদের আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। গবাদিপশু ও বিপাকে পড়েছিল।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন ওয়ালিদ বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরায় বৃষ্টি হওয়ায় নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আশার কথা হলো, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বৃষ্টিপাত আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে। এতে খরস্রোতা নদীগুলোর পানি কমতে থাকবে।
নদী ভাঙনের বিষয়ে ওই প্রকৌশলী জানান, বৃষ্টি কমে গেলে পানির নিচে নেমে যাবে। জেলার কোনো স্থানে নদ-নদী ভাঙনের খবর পাইনি। আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।
বিবিবি/এমএম