ঢাকা, শনিবার, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১২ জুলাই ২০২৫, ১৬ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের দাবি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানাবে কমিটি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০৫, মে ২৭, ২০২৫
সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের দাবি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানাবে কমিটি

ঢাকা: ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ পর্যালোচনায় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সঙ্গে সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের বৈঠক শেষ। আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো এখন মন্ত্রিপরিষদকে জানানো হবে।

বৈঠকের পর আগামীকাল বুধবার (২৮ মে) আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেল পৌনে ৩টায় সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কমিটির সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে বিকেল ৪টায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। তাদের কথাগুলো সচিব শুনেছেন। বুধবার তিনি বিষয়গুলো সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানাবেন।

সিনিয়র সচিব বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সচিবালয়ের কর্মচারীরা আন্দোলন করছেন। আজ সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আমাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আলোচনা করার জন্য এবং সমস্যার মূল কোথায় সেটা বের করার জন্য। আমরা আলাপ করেছি। তারা তো আমাদের সঙ্গেই কাজ করেন। সবাই সচিবালয়েরই কর্মচারী। আইনের ভাষায় আমরাও কর্মচারী। আমরা আমাদের কথা বলেছি, উনাদের কথা শুনেছি। যেহেতু জিনিসটা (অধ্যাদেশ বাতিল) উনারা তাড়াতাড়ি চান, আমরা ঠিক করেছি আগামীকাল সকাল ১০টায় সংশ্লিষ্টসব সচিব মিলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয়কে এ কথাগুলো জানাবো। এটাই সিদ্ধান্ত। আর কিছু না। তারপর উনারা কী করবেন, একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া তো থাকেই। সে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যারা থাকবেন, তারা এ বিষয়ে একটা ঘোষণা দেবেন।

বুধবার আন্দোলনকারীরা আবার কর্মসূচিতে থাকবেন কিনা, জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা আলাপ করেছি, যে সময়টা আলোচনায় থাকবো সে সময়ে তারা কাজে থাকবেন। তারা আন্দোলন করবেন না। আগামীকাল উনাদের কর্মসূচি নাই, উনারা একদিন দেখবেন। যেগুলো ছিল সেগুলো বাতিল করেছেন। উনারা অধ্যাদেশটি বাতিল চেয়েছেন। এ আইন ছাড়াও তো সরকার যেকোনো সময় ব্যবস্থা নিতে পারে।

অধ্যাদেশ বাতিল হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে আইন হয়েছে সে আইনের সঙ্গে আমরা সংশ্লিষ্ট না। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার কী করবে সেটা আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর জানান, আমরা কোনো আংশিক। সংশোধন চাই না। পুরোপুরি বাতিল চাই। স্যার আমাদের সঙ্গে পোষণ করে প্রস্তাব দেবেন। শুধু আগামীকাল কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আমাদের ধারণা ৬-৭ জন সচিব যদি এক সঙ্গে বলেন, তাহলে অধ্যাদেশ বাতিল হবে।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বিষয়টি বলার পর আশা করি ভালো একটা ফল আসবে। আগামীকাল কোনো কর্মসূচি থাকবে না।

এমআইএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।