ঢাকা, রবিবার, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৫ মে ২০২৫, ২৭ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকায় চাকরির সন্ধানে ছিলেন ২ যুবক, সড়কে গেল প্রাণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫৯, মে ২৫, ২০২৫
ঢাকায় চাকরির সন্ধানে ছিলেন ২ যুবক, সড়কে গেল প্রাণ নিহত আশফাকুর রহমান ও আসিফ মাহমুদ

পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় চাকরির সন্ধান করছিলেন আশফাকুর রহমান আসিফ (২৪) ও আসিফ মাহমুদ সম্পদ (২১)। চাকরি পাওয়ার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেছে তাদের প্রাণ।

রোববার (২৫ মে) সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বনানী এলাকার কাকলী মোড়সংলগ্ন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ঢালে রেডিমিক্স কংক্রিটের গাড়িচাপায় তাদের মৃত্যু হয়।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরোয়ার জানান, ঘটনার সময় মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন আশফাকুর রহমান। পেছনে বসা ছিলেন আসিফ মাহমুদ। মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ঢালে পৌঁছালে একটি রেডিমিক্স কংক্রিটের গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলে তারা মারা যান।

ওসি আরও জানান, গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। হেলপারকে আটক করা হয়েছে। দুই যুবকের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

মৃত আশফাকুর রহমান আসিফের বন্ধু তালহা জোয়ার্দার জানান, আশফাকের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিসিক রোডের কুমারপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম মো. আলম। আশফাক দিনাজপুরে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল (ইইই) বিভাগে পড়াশোনা শেষ করেছিলেন। ঢাকার তেজগাঁওয়ের শাহিনবাগ এলাকায় মেসে থাকতেন। বর্তমানে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় চাকরির সন্ধান করছিলেন। এক ভাই এক বোনের মধ্যে আশফাক ছিল বড়।

নিহত আসিফ মাহমুদের খালাতো ভাই কাজী সোহাগ হোসেন জানান, আসিফের  বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার তখলপুর গ্রামে। তার বাবার নাম শহিদুল ইসলাম। আসিফ চট্টগ্রাম মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা শেষ করেছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় চাকরির চেষ্টা করছিলেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।

কাজী সোহাগ আরও জানান, আফিফের বাবা শহিদুল ইসলাম বিজিবিতে চাকরি করেন। বেশ কিছুদিন আগে ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে তার বাবার। কয়েকদিন আগে পরিবারের লোকজন টঙ্গী হাইকেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ব্রেন টিউমারের অপারেশন হয়। ওই হাসপাতালেই ছিলেন আসিফের মা ও ছোট বোন। তিনি সকালে মোটরসাইকেলে করে তেজগাঁওয়ে খালার বাসায় যাচ্ছিলেন দুপুরের খাবার আনতে। সে সময় বনানী এলাকায় দুর্ঘটার শিকার হন।

এজেডএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।