ঢাকা: রাজধানীর হাজারীবাগ থানার ঝিগাতলা এলাকায় মাদকসেবন করা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও বাগবিতণ্ডার জেরে ড. মালেকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী আলভীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ১৫ মে সন্ধ্যায় ধানমন্ডি লেকের বাগানবাড়ি এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় মাদক সেবন ও চেয়ারে বসা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। নিহত আলভী ও তার বন্ধুদের সঙ্গে আসামি হাসানসহ কয়েকজনের হাতাহাতি হয়। এরপর গত ১৬ মে তারা পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
গ্রেপ্তাররা হলেন-মো. রায়হান (২০), হাবিবুর রহমান মুন্না (২৬), সমতি পাল (২৩) ও কাউসার (২১)। মঙ্গলবার ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (২১মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নিহত সামিউর রহমান খান আলভী হাজারীবাগ থানার মনেশ্বর রোডে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। তিনি ড. মালেকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।
গত ১৬ মে আলভি ও তার তিন বন্ধু আশরাফুল ইসলাম, জাকারিয়া এবং ইসমাঈল হোসেনের সঙ্গে ধানমন্ডি লেক পাড়ের একটি রেস্টুরেন্টে অবস্থান করছিলেন। এ সময় গ্রেপ্তাররাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তাদের কৌশলে হাজারীবাগ থানার জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আলভী ও তার বন্ধুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে আঘাত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আলভীকে মৃত ঘোষণা করেন। আলভীর তিন বন্ধু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আলভীর বাবা মশিউর রহমান খান হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা করেন।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, মাদকসেবনকে কেন্দ্র করে বাগানবাড়ি লেকে ভিকটিম আলভী ও তার বন্ধুদের সঙ্গে গ্রেপ্তারদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে এ হত্যাকাণ্ড হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। গ্রেপ্তাররা আলভীকে শত্রুতার জেরে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
এমএমআই/জেএইচ