ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ মে ২০২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

টিকটকারদের হাতে ফটোগ্রাফার খুন, গ্রেপ্তার ১০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট    | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১৫, মে ২১, ২০২৫
টিকটকারদের হাতে ফটোগ্রাফার খুন, গ্রেপ্তার ১০

ঢাকা: রাজধানীর হাজারীবাগের জাফরাবাদ এলাকায় পরিকল্পিতভাবে নূরুল ইসলাম নামে এক ফটোগ্রাফারকে খুন করে ক্যামেরা ছিনতাই করেছে একদল টিকটকার। এ ঘটনায় জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

  

মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলো- মো. নাঈম আহম্মেদ (২০), মো. শাহীন অকন্দ ওরফে শাহিনুল (২০), মো. শাহীন চৌকিদার (২২),  মো. রহিম সরকার (১৯),  মো. নয়ন আহম্মেদ (১৯),  রিদয় মাদবর (১৮),  মো. আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজা (১৯), মো  আনোয়ার হোসেন (১৯),  মো. শহিদুল ইসলাম (২০) ও মো. আরমান (১৮)।  

গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, রামদা ও ছোরা এবং দুটি ছিনতাই হওয়া ডিএসএলআর ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) রাজধানী মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মতিঝিল এজিবি কলোনি এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম (২৬) পেশায় ফটোগ্রাফার। গত ১৫ মে বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি তোলার নামে নূরুল ইসলামকে ফোনে ডেকে নেয় দুর্বৃত্তরা। ৫০০ টাকা অগ্রিম পাঠিয়ে তাকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেখায়। পরদিন (১৬ মে) সন্ধ্যায় ধানমন্ডির শংকর বাসস্ট্যান্ড থেকে নূরুল ও তার সহযোগী ইমনকে অটোরিকশায় তুলে জাফরাবাদ পুলপার এলাকার একটি স্কুলের কাছে নিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে সেখানে পৌঁছামাত্রই ১০-১২ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালায়।

ঘটনার আকস্মিকতায় ইমন রিকশা থেকে লাফিয়ে পালিয়ে গেলেও নূরুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা, ঘাড় ও হাতে আঘাত করে গুরুতর জখম করে ক্যামেরা ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। নুরুল ইসলামের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুষ্কৃতকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই ওসমান গনি হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

ডিসি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রায়েরবাজার, শংকর, আশুলিয়া ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও তারাকান্দা থেকে মঙ্গলবার (২০ মে) পৃথক অভিযানে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মাসুদ বলেন, গ্রেপ্তাররা একটি টিকটকার গ্রুপ। মোবাইল দিয়ে ভিডিও করলে ভালো রেজুলেশন আসে না—এ কারণেই তারা ডিএসএলআর ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। ফেসবুক থেকে নিহতের নম্বর সংগ্রহ করে যোগাযোগ করে। নাঈম, শাহীন, শাহীনুল, রহিম, নয়ন, রিদয়, রাজ্জাক, আনোয়ার, শহিদুল ও আরমান অটোরিকশার গতিরোধ করে নূর ইসলামের কাছ থেকে ডিএসএলআর ক্যামেরা ও ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ক্যামেরা না দিতে চাইলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নূরুল ইসলামের শরীরে আঘাত করে এবং ক্যামেরাসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।  

এমএমআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।