ঢাকা, সোমবার, ১ বৈশাখ ১৪৩২, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শুল্ক আরোপ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে চিঠি: ইতিবাচক প্রত্যাশা অর্থ উপদেষ্টার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৫
শুল্ক আরোপ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে চিঠি: ইতিবাচক প্রত্যাশা অর্থ উপদেষ্টার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেখানে আমরা ইতিবাচক কিছু প্রত্যাশা করছি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সোমবার (৭ এপ্রিল) ট্রাম্প প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন। আমরা রেসপন্স করেছি, আমরা ইতিবাচক কিছু প্রত্যাশা করছি। আমরাও সহযোগিতা করবো তারাও সহযোগিতা করবে। একটা উইন উইন অবস্থা।

তিনি বলেন, একদিকে তারা করে ফেললো আমরা অ্যাডজাস্ট করবো বিষয়টা সেটা না। আমরা আমাদের ইস্যুটা তুলে ধরবো। আমি বিশ্বাস করি এ বিষয়টা সমাধান হবে।  পজিটিভ হবে, পজিটিভ বলতে তাদেরও লাভ হবে আমাদেরও লাভ হবে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকে আমরা মসুর ডাল, চাল, এলএনজি ও তেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। আজকে যে ক্রয়ের অর্ডারগুলো দিয়েছি সেগুলো আগের তুলনায়, মূল্য কম। এটার কারণ হচ্ছে আমরা একটু প্রতিযোগিতা করতে চাচ্ছি। আগে গুটি কয়েক সাপ্লায়ার দিতো এখন ওপেন করাতে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ফলে আমরা কম দামে পাচ্ছি। আমাদের অনেক সাশ্রয় হচ্ছে।

এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘প্রথমে আমরা ইউএসএ এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার ঘটাবো। এজন্য আমেরিকা থেকে আমাদের দরকারি কোনো কিছু যদি ইমপোর্ট করতে হয়, আমরা এলএনজি এবং দরকারি জিনিস ইমপোর্ট করব। সো দ্যাট তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরেকটু দৃঢ় হয়। আর আমাদের এখান থেকে যা ইমপোর্ট হয় আমরা করব। আমরা এখানে যে অ্যাকশন নেব আমাদের নিজস্ব গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি এবং অন্যান্যরা যাতে আরও বেশি প্রতিযোগী সক্ষমতা অর্জন করে প্রতিযোগীদের তুলনায়। আমেরিকানরা মনে করে বাংলাদেশি পণ্য বেটার, অন্য দেশের তুলনায়। সেটাকে আমরা আরেকটু ... বাড়াবো প্রাইভেট সেক্টরে। অন্যান্য সার্ভিস আমরা আমেরিকা থেকে আনতে পারব।

তিনি বলেন, নন ট্যারিফ বেরিয়ার অনেক কিছু থাকে। এই যে, ৫২, ৫৪ শতাংশ সংখ্যা আমরা দেখি, এর বাইরে অফিসিয়াল রেগুলেটরি অনেক রকম সুবিধা-অসুবিধা থাকে। আমেরিকার ব্যবসায়ীরা যাতে এগুলোর সম্মুখীন না হয় এগুলো যত দ্রুত সম্ভব আমরা যুক্তিযুক্ত করব, এটা কে আরও স্মুথ করব। যাতে দুই দেশের বাণিজ্য আরও প্রসার লাভ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৫
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।