আজকাল অনেকেই দাঁত পরিষ্কারের পর মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন। কেউ কেউ আবার দাঁত না মেজেই শুধু একটু ফ্রেশনেসের জন্য মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন।
মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে মুখে সতেজতা আসে এবং অল্প সময়ের জন্য ব্যাকটেরিয়া কমে। কিছু মাউথওয়াশ মাড়ির জ্বালাভাব কমাতে সাহায্য করে এবং ফ্লোরাইডযুক্ত উপকরণগুলো দাঁতের ক্ষয় রোধে কার্যকর।
তবে মাউথওয়াশের কিছু অসুবিধাও আছে। অ্যালকোহলযুক্ত মাউথওয়াশ লালা শুকিয়ে দিতে পারে, যার ফলে মুখের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হয়। এ ছাড়া এটি শুধু সাময়িক স্বস্তি দেয়, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার স্থায়ী সমাধান নয়।
ঘন ঘন ব্যবহার করলে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে মুখে জ্বালা, অ্যালার্জি বা আলসারও হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, মুখ পরিষ্কার রাখার জন্য নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা এবং ফ্লসিং করা অপরিহার্য। মাউথওয়াশ কেবলই সহায়ক। যদি মাড়ি সংক্রান্ত সমস্যা বা দুর্গন্ধ থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
মাউথওয়াশ ব্যবহারের সময় কিছু নিয়ম মানা জরুরি। যেমন- মাউথওয়াশ মুখে নিয়ে ২০-৩০ সেকেন্ড কুলকুচি করতে হবে। ভুলেও গিলে ফেলা যাবে না। শিশুদের মাউথওয়াশ দেওয়া উচিত নয়। এ ছাড়া অ্যালকোহল-মুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করাই নিরাপদ।
সুতরাং, মাউথওয়াশ হলো মুখের পরিচ্ছন্নতার একটি সহায়ক উপকরণ। এটি দাঁত মাজার বিকল্প নয়। সঠিক সময়ে এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করলে মুখের স্বাস্থ্য ও সতেজতা বজায় রাখা সম্ভব।
এমজে