ঢাকা, রবিবার, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৮ জুন ২০২৫, ১১ জিলহজ ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

রূপ-রুটিনে হলুদ ব্যবহারের উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:৫৩, জুন ৮, ২০২৫
রূপ-রুটিনে হলুদ ব্যবহারের উপায়

নিয়মিত হলুদ গুঁড়া ব্যবহারে আপনার ত্বক হবে দাগহীন এবং প্রাণবন্ত। রূপচর্চার ইতিহাসে এই উপাদান চিরন্তন।

ত্বকের যত্নের পাশাপাশি চুলের নানা সমস্যারও অব্যর্থ সমাধান। তাই রূপ-রুটিনে হলুদ ব্যবহারের উপায়গুলো জেনে নিন।

উপকারিতা ও ব্যবহারবিধি

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে আদি অনন্তকাল ধরে হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ছোটখাটো কাটা-ছেঁড়া কিংবা পোড়াদাগে আজও হলুদের প্রলেপ ব্যবহার করা হয়। এতে ইনফেকশনও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না, আর ক্ষতও তাড়াতাড়ি নিরাময় হয়।  

ক্ষতের ওপর ১ চা চামচ হলুদ বাটা, ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ ঠাণ্ডা দুধ মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন।

বুড়িয়ে যাওয়া ত্বকের জন্যও হলুদ খুব ভাল। এছাড়া, ত্বকের দৃঢ়তা বজায় রাখতে, বলিরেখা, ফাইন লাইনস কমাতে হলুদ দারুণ কার্যকর। হলুদ বাটা বা গুঁড়ো দু’ভাবেই ব্যবহার করে দেখতে পারেন।  

আধা চা চামচ হলুদবাটার সঙ্গে ১ চা চামচ টকদই মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকের বিভিন্ন দাগ-ছোপ বা স্ট্রেচমার্ক দূর করতেও হলুদের কোনও জবাব নেই। হলুদের কারকিউমিন ত্বকের ভেতরের স্তরে পৌঁছে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। এতে কমপ্লেকশনেও অনেক পরিবর্তন আসে।  

সারারাত পানিতে আমন্ড ভিজিয়ে রাখুন। কয়েকটা খোসা ছাড়ানো আমন্ডের সঙ্গে ১ চা চামচ হলুদ বাটা, ১ চামচ টক দই, ১ চামচ লেবুর রস, ১ চিমটে কেশর (না থাকলেও অসুবিধা নেই) এবং ১ চা চামচ চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে কৌটোয় ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। স্ট্রেচমার্ক বা দাগ-ছোপের ওপর প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে এই মিশ্রণ লাগান। সকালে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব কমাতেও হলুদ দারুণ কাজ করে। হলুদের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা অ্যাকনের জীবাণু নষ্ট করে ত্বক করে তোলে সুন্দর ও কোমল।  

১ চা চামচ হলুদ বাটার সঙ্গে ১ চামচ ছোলার ডাল বাটা (ভিজিয়ে বেটে নিন), ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও অল্প পানি মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। ছোলার ডালের পরিবর্তে বেসনও ব্যবহার করতে পারেন। শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন হলুদ মেশানো দুধ। অথবা ১ চামচ গোলাপজলের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম ও ১ চা চামচ হলুদ বাটা মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক থাকবে আর্দ্র ও নরম।

শীত হোক বা গ্রীষ্ম—সানট্যানের সমস্যা অবধারিত। আর এক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে পারেন হলুদ। ত্বক উজ্জ্বল করতেও হলুদ অব্যর্থ।  

৩ চামচ বেসন, ২ চামচ টকদই, ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ হলুদ বাটা ও আধা চামচ যষ্ঠিমধু গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে ট্যান পড়া অংশে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকের নিয়মিত ব্যবহারে ট্যান কমতে বাধ্য। পুরো শরীরেই ব্যবহার করতে পারেন এই প্যাক। ব্যবহারের পর অন্তত ৫ ঘণ্টা ভুলেও সাবান ব্যবহার করবেন না।

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতেও হলুদের ভূমিকা অপরিসীম।  

আধা চামচ হলুদবাটা, ১ চামচ ময়দা, ১ চামচ নারকেল তেল ও ১ চামচ দুধের সর একসঙ্গে মিশিয়ে ভ্রূ ও ঠোঁট বাদে পুরো মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ভালভাবে লোমের গ্রোথের বিপরীত দিকে ঘষুন। এই মিশ্রণে তেল থাকায় সহজেই ফেসপ্যাক উঠে আসবে। পুরো মুখ এভাবে ঘষে পরিষ্কার করবেন। নিয়মিত ব্যবহার করলে দেখবেন ত্বকের লোমও অনেক কমে গেছে। প্যাক ব্যবহারের কয়েকঘণ্টা পর মুখে পানি বা ফেশওয়াশ ব্যবহার করুন।

চটজলদি ত্বকে জেল্লা আনতে অথবা ত্বককে তরতাজা করতে টোনারে অথবা গোলাপজলে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন টোনার অনেকক্ষণ ত্বকে না জমে থাকে। তাতে ত্বকে দাগ হতে পারে। মুখে টোনার লাগিয়ে ভালোভাবে মাসাজ করুন।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।