ঢাকা, রবিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩২, ০৬ জুলাই ২০২৫, ১০ মহররম ১৪৪৭

আইন ও আদালত

খালাসের পরও ৭ বছর কনডেম সেলে, বিচারিক তদন্তের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:০১, আগস্ট ৭, ২০২২
খালাসের পরও ৭ বছর কনডেম সেলে, বিচারিক তদন্তের নির্দেশ

ঢাকা: চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় জানে আলম হত্যা মামলায় থেকে খালাসের পরও সাত বছর ধরে কনডেম সেলে থাকা আবুল কাশেমের বিষয়ে বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২৫ আগস্টের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

রোববার (৭ আগস্ট) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ  এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

আদালতে আবুল কাশেমের ছেলেও একটি আবেদন দাখিল করেছেন।

এর আগে এ বিষয়ে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এরপর আদালত লিখিত আবেদন করতে বলেন।

পরে গত বৃহস্পতিবার মুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনাটির বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

বাংলানিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, লোহাগাড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তার খালাস পাওয়ার আদেশ যথাসময়েই উচ্চ আদালত থেকে পৌঁছেছে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে।

কিন্তু আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেনি ৭ বছর ৩ মাস ১১ দিনও। একটি মামলায় ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত হাজিরা দিতে এলে আবুল কাশেমকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠান। সেই দিন থেকে কারাগারের কনডেম সেলে আছেন আবুল কাশেম। তিনি লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ার বেলায়েত আলীর ছেলে।

আবুল কাশেমের ছেলে ইফতেখার হোসেন নোহাশ বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন বিনা বিচারে কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। একটি মামলা ছিল, সেটাতে জামিন ছিলেন। আমার বাবার মুক্তি চাই।

আরও পড়ুন: বিনা দোষে কারাগারে কনডেম সেলে ৭ বছর!

বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২২
ইএস/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।