ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আইন ও আদালত

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি বুধবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০৪, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি বুধবার আপিল বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে শুনানির জন্য বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।  

সেই সময় পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত থাকবে।

ঢাবির আবেদনে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ আদেশ দেন।  

এর আগে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন প্রক্রিয়া ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।  

একইদিন বিকেলে এ বিষয়ে হাতে লেখা আবেদন নিয়ে চেম্বার জজের দ্বারস্থ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাবির সিভিল মিসলিনিয়াস পিটিশন (সিএমপি) (হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন) দাখিল করা পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার আদালত।  

এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সিএমপি করে ঢাবি কর্তপক্ষ। সেটি আজ চেম্বার আদালতের কার‌্যতালিকায় উঠে। আদালত আপিল বিভাগের নিয়মতি বেঞ্চে শুনানির জন্য বুধবার দিন নির্ধারণ করেছেন। এই সময় পর‌্যন্ত হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার জজ আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়েছে।

ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম এ রিট দায়ের করেন।  

রিটে অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলে প্রার্থী হলেন, এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয় রিট মামলায়।

ডাকসুর ভোটগ্রহণের জন্য আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রয়েছে। শিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে সাদিক কায়েম ভিপি ও এস এম ফরহাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  

ডাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ৪৭১। গত ২৬ আগস্ট প্রকাশিত চূড়ান্ত চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।  

সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। এবার মোট ২১৭ জন প্রার্থী সদস্য পদে লড়বেন। সবমিলিয়ে ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন ৪৭১ জন প্রার্থী।  

ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।