ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ সফর ১৪৪৭

আইন ও আদালত

অর্থ পাচার মামলায় ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস জি কে শামীম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:২২, আগস্ট ৭, ২০২৫
অর্থ পাচার মামলায় ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস জি কে শামীম

অর্থ পাচার মামলায়  ঠিকাদার গোলাম কিব‌রিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে চার বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন তার সাত দেহরক্ষী।

বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

২০২৩ সালের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জিকে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আদালত।  

বাকি সাত আসামিকে (জি কে শামীমের দেহরক্ষী)  চার বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে তিন কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।  

চার বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে শরীফ, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।

রায়ে আদালত তার জব্দ করা সমস্ত ব্যাংক হিসাব ও অস্থাবর সম্পত্তি অবমুক্ত করার আদেশ দেন। এরপর আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস, আইনজীবী পারভেজ হোসেন, মো.জাহিদ হোসেন দোলন, মো. জোবায়ের হোসেন সজিব ও মো.জিয়াউর রশিদ টিপু।

পরে আইনজীবী পারভেজ হোসেন জানান, সব আসামির আপিল মঞ্জুর করে খালাস দিয়েছেন।  

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা‌হিনী।

অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়।

ইএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।