ঢাকা, সোমবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৮ মহররম ১৪৪৭

আইন ও আদালত

বিচার হয়নি, সাজাও না— তবু ৩০ বছর কারাগারে ছিলেন কনু মিয়া

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০০, জুলাই ১৪, ২০২৫
বিচার হয়নি, সাজাও না— তবু ৩০ বছর কারাগারে ছিলেন কনু মিয়া হবিগঞ্জ জেলা কারাগার

হবিগঞ্জ: হত্যা মামলায় বিচার হয়নি, সাজাও হয়নি। কেবল একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে মানসিক রোগী কনু মিয়া কারাগারে কাটিয়ে দিয়েছেন টানা ৩০ বছর দুই মাস ১৯ দিন।

অবশেষে সরকারি আইনি সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) হস্তক্ষেপে মুক্তি পাচ্ছেন তিনি।  

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সিংহগ্রাম গ্রামের মৃত চিনি মিয়ার ছেলে কনু মিয়া ১৯৯৫ সালের ২৫ মে ঘুমন্ত অবস্থায় কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন তার মা মেজেষ্টর বিবিকে। মানসিক ভারসাম্যহীন কনু মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর পরদিন আদালতে মাত্র তিন লাইনের একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর শুরু হয় তার দীর্ঘ বন্দিজীবন।

তবে মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত ছিল। এতে বছরের পর বছর আটকে থাকেন তিনি, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, কনু মিয়া আর বেঁচে নেই।  

সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি নজরে আনেন হবিগঞ্জ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ মুহম্মাদ আব্বাছ উদ্দিন।  

তিনি মামলার বাদী মনু মিয়া ও তার ভাই নাসু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সহযোগিতায় কনু মিয়ার জামিনের উদ্যোগ নেন।  

গত ১৪ জুলাই হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে লিগ্যাল এইডের প্যানেলভুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ জামিন আবেদন করলে বিচারক জেসমিন আরা বেগম সেটি মঞ্জুর করেন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ তিন দশক পর মুক্তি পাচ্ছেন কনু মিয়া।

এ উদ্যোগের জন্য লিগ্যাল এইড অফিসার ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হাই।  

তিনি বলেন, কনু মিয়া শিগগিরই হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।