ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৪ জুন ২০২৫, ২৭ জিলহজ ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ধর্ষণ মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৪৬, জুন ২৪, ২০২৫
ধর্ষণ মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন। ফাইল ছবি

ঢাকা: বান্ধবী লায়লা আক্তার ফারহাদের করা ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের (২৫) বিচার শুরু হয়েছে।  

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ আদেশ দেন।

আজ এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামির উপস্থিতিতে তার আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ সেই আবেদনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে বিচারক অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এর মাধ্যমে মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

এ মামলায় চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত জামিনে ছিলেন আসামি প্রিন্স মামুন। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ শাহজাহান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এরপর মামলাটি বদলি হয়ে ট্রাইব্যুনালে আসে। এরপর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল চার্জশিট গ্রহণ করেন। ওইদিন তার জামিনও মঞ্জুর করা হয়।   

এর আগে ২০২৪ সালের ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা। পরদিন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১১ জুন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই বছরের ১ জুলাই ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে মামুন তাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই লায়লা তাকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন।

এরপর ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে মামুন তার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করে। মামুন তার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝে মধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ মামুন আবার তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে তাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।

কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।