ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার সাম্য (২৫), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক এবং মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জল হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচারিক তদন্ত চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
একইসঙ্গে নোটিশে প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) ই-মেইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি (প্রশাসন), প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ও রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাবের ডিজিকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশদাতারা হলেন-সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাইম সরদার (অয়ন) ও অ্যাডভোকেট শাহেদ সিদ্দিকী।
নোটিশ পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়েরসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
পরে এক বিজ্ঞপ্তিতে নোটিশ থেকে উল্লেখ করে বলা হয়- বিবাদীদের ব্যর্থতার কারণেই ১৩ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়য়ের মেধাবী ছাত্র শাহরিয়ার সাম্য (২৫), ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক এবং ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। বিবাদীরা এ দায়ভার এড়াতে পারেন না। এসব মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এছাড়া নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়।
নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান (তুষার) বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এভাবে একেরপর এক হত্যাকাণ্ড দুঃখজনক। বিবাদীরা ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এসব মৃত্যুর পেছনে বিবাদীদের ব্যর্থতা রয়েছে।
ইএস/জেএইচ