ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সংলাপের পর আচরণবিধি সংশোধন চায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
সংলাপের পর আচরণবিধি সংশোধন চায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

ঢাকা: রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধন চায় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এমন দাবি জানিয়েছে দলটি।

বৈঠকের পর বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, কমিশনের কাছে ৩১ দফা লিখিত সুপারিশ পেশ করা হয়েছে। ইসি একটা খসড়া আচরণবিধি তৈরি করছে। এখনও পাবলিক করেনি। আমরা আচরণবিধির বিষয়ে বেশ কিছু মতামত দিয়েছি। আমরা বলেছি, এক তরফাভাবে ইসি আচরণবিধি চূড়ান্ত না করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে, বিচার বিবেচনা আমলে নিয়ে এটা প্রণয়ন করেন তাহলে এটার এক ধরনের গ্রহণযোগ্যতা আসবে, কার্যকর হবে।

তিনি বলেন, ইসি স্বাধীন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার প্রয়োগ দেখতে চাই। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসির ক্ষমতাকে কীভাবে বাড়ানো যায়, সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ হাজির করেছি। এও বলেছি, ইসিকে একটা জবাবদিহিতার মধ্যে আনা দরকার। এ বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে ইসির ব্যত্যয় ঘটলে তাদেরকেও আইনানুগভাবে ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনটা করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), ওসিসহ প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এখানে নির্বাচনী ব্যবস্থায় রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা থাকে গুরুত্বপূর্ণ। ইসির জনবল বাড়িয়ে তার নিজস্ব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশও করেছি।

সাইফুল হক আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের এখানে যদি ফেরেশতাও বসিয়ে দিই, ইসি আসলে কোনো ভালো নির্বাচন করতে পারবে না। এটা যৌথ অর্কেস্ট্রার মতো। এখান যে অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে; আমরা বিশ্বাস করি তারা অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চায়। যেহেতু তাদের কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাত থাকবার কথা নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বাত্মক আন্তরিকতা, ইসি, রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সচেতন ভূমিকার মধ্য দিয়ে আমরা ত্রয়োদশ সংসদের অর্থপূর্ণ কার্যকর নির্বাচন দেখতে পাবো।

দলটির এই নেতা আরও বলেন, ১৬ বছর ধরে অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের অপেক্ষায় দেশবাসী। ইসি ইতোমধ্যে ভোটার তালিকার কাজ শেষ করেছে। আমরা জানতে পেরেছি ডিসেম্বরকে লক্ষ্য ধরে নিয়ে তারা প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছে। আমরা বলেছি, রাজনৈতিক দল, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পরামর্শ, আলাপ আলোচনা করে নিশ্চয়ই অচিরেই নির্বাচন সম্পর্কে আপনারা সুনির্দিষ্ট পথনকশা ঘোষণা করবেন। নির্বাচনের সূচি বা শিডিউল ইসিকে ঘোষণা করতে হবে। যদি দলগুলো, ভোটারদের বিপুল প্রত্যাশা রেখে ইসি যত বেশি সম্ভব, স্বল্পতম সময়ে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট পথনকশা ঘোষণা করতে পারেন, তবেই মানুষ সরকার, ইসিকে সাধুবাদ জানাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
ইইউডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।